মহাদেবী লক্ষ্মী। তিনি কখনও মহালক্ষ্মী, কখনও ধনলক্ষ্মী, কখনও আবার কোজাগরী। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবার বঙ্গদেশে। ঋতুতে ঋতুতে বার-ব্রতে পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী। নাম ভেদে দেবীর রূপ বদলালেও তাঁর ভূমিকা বদলায় না। তিনি সমৃদ্ধির দেবী। আরাধনা, পূজা উপচার তাঁর আসন চিরস্থায়ী করাই গৃহস্থের উদ্দেশ্য।
মন্দিরের দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মহালক্ষ্মী তীর্থ। তার মধ্যেই কয়েকটির বিশদ তথ্য রইল নিবন্ধে
মহালক্ষ্মী মন্দির, মুম্বই- মুম্বইয়ে হাজি আলির দরগা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহালক্ষ্মী মন্দির। ১৮৩১-এ ধনী ব্যবসাইয়ী ধকজি দাদাজি এই মন্দির নির্মাণ করেন। এই মন্দিরে ত্রিদেবী পূজিতা। দেবী শ্রী মহালক্ষ্মী, মহাকালী এবং মহা সরস্বতী। তিন দেবীই রত্ন সাজে সজ্জিতা। নবরাত্রী এবং দশেরার সময় বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। পুরো মন্দির ঘুরে দেখতে এক ঘন্টা সময় লাগে।
মহালক্ষ্মী মন্দির, কোলাপুর- মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের অবস্থিত মহালক্ষ্মী মন্দির। এই মন্দির অম্বাবাই মন্দির নামেও জনপ্রিয়। চালক্য রাজ কর্ণদেব স্থাপন করেন মন্দিরটি। লক্ষ্মীপুজোর দিন ছাড়াও নবরাত্রি, দশেরা, রথযাত্রায় বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মোহিনীরাজ লক্ষ্মী মন্দির, আহমেদনগর- মহারাষ্ট্রের আহমেদ নগর জেলায় অবস্থিত মোহিনীরাজ লক্ষ্মী মন্দির। ১৭৭৩ সালে স্থাপিত। জানুয়ারী থেকে মার্চ প্রতিটি পূর্ণিমায় উৎসব পালিত হয় এই মন্দিরে। সেই উপলক্ষে পুণ্যার্থী সমাগমও হয়। শ্রী বিষ্ণু, পার্বতী, হনুমানজীর পুজোও হয়।
আস্থালক্ষ্মী মন্দির, চেন্নাই- দেবী লক্ষ্মীর আট রূপে অধিষ্ঠাত্রী চেন্নাইয়ের আস্থালক্ষ্মী মন্দিরে। চেন্নাইয়ের এলিয়ট বীচের কাছে অবস্থিত।
লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, দিল্লী- দিল্লীর লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির সাধারণের কাছে বিরলা মন্দির নামে পরিচিত। বি আর বিরলা এবং বিজয় ত্যাগী ১৯৩৯ সালে এই মন্দির স্থাপন করেন। মন্দিরের উদ্বোধন করেন মহাত্মা গান্ধী। দীপাবলী এবং জন্মাষ্টমীর সময় উৎসব হয়। দেবী লক্ষ্মী ছাড়ায় গণপতি দেব, মহাদেব, দেবী দুর্গাও পূজিতা হন।
শ্রীপূরম স্বর্ণমন্দির, তামিলনাড়ু- তামিলনাড়ু রাজ্যে সোনায় ঢাকা এক মন্দির শ্রীপূরম। তামিলভূমির অন্যতম বিখ্যাত মন্দির। মন্দিরের ভিতরে একটি তারকাপথ আছে। জীবনে আধ্যাত্মিক মার্গের গুরুত্বের প্রতীক। তিরুপতি মন্দির এবং চেন্নাই থেকে মাত্র ১২০-১৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই মন্দির।