মটরশুঁটি উৎপাদনের এ বছরে লাভবান রাজ্যের মটরশুঁটি চাষিরা। খাবারের বিভিন্ন রকমারিতে বলুন বা রোজকার পরিবেশনায়, বেশ জনপ্রিয় এই মটরশুঁটি। শহর ছাড়িয়ে অন্যান্য় জায়গাতেও মটরশুঁটির যোগান দিচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ক্যানিং ২ ব্লকে এবছর রেকর্ড সংখ্যক মটরশুঁটি উৎপন্ন হয়েছে। এত পরিমান উৎপাদনের কারণ এ বছরের অনুকূল আবহাওয়া বলে জানান এখানকার বিডিও দেবব্রত পাল।
ক্যানিং এর ব্লক ২য়ে চাষযোগ্য জমির পরিমান ১৬,৩৫৮ হেক্টর। নয়টি পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে রয়েছে এই চাষ যোগ্য জমি। এসব এলাকায় পাট, ধান, গম এর সাথে সাথে বিপুল পরিমানে মটরশুঁটি, উচ্ছে, করলার চাষও করা হয়ে থাকে। মটরশুঁটিতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে, ফলে মটরশুঁটি চাষ হলে চাষিদের সাথে সাথে ভোক্তাদেরও লাভ হবে। ইমিউনিটি সিস্টেম বুস্ট করতেও সাহায্য করে এই শস্য। এছাড়াও ডায়েবেটিস প্রতিরোধে বিশেষ রূপে সহায়ক মটরশুঁটি।
নারায়নপুর, সারেঙ্গাবাদ, তাম্বুলধ পঞ্চায়েতে বিশাল জমি জুড়ে চাষ হচ্ছে মটরশুঁটি বলে জানান পঞ্চায়েতের কৃষি কর্মাধক্ষ তপন পাইক। একই এলাকার খাগড়া, আড়াইবাকি, ধলাইপার, খুচিতলা, হাওরামারি, দাড়িপাতাতেও বিপুল ফলন হয়েছে মটরশুঁটির।
ক্যানিং এর মটরশুঁটি শিলিগুড়ি, মালদহ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তরবঙ্গে। একজন পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী জানালেন জীবনটোলা বাজার থেকে ১৫ টাকা কিলোদরে মটরশুঁটি কিনে ১৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। খুচরো বাজারে এর মূল্য দাঁড়াবে ২৫ টাকার কাছাকছি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধক্ষ জানিয়েছেন, ক্যানিং এর শিল্প বিপ্লব ঘটে ২০১১ সালের পরে। ফলে ক্যানিং এ মাছের পাশাপাশি অন্যান্য শস্য শিল্পের পর্যাপ্ত উৎপাদন এখানকার চাষিদের আর্থিকভাবেও লাভের মুখ দেখাচ্ছে।