অধর্মের নাশ করবেন বিষ্ণুর শেষ অবতার কল্কি

বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কি। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী তাঁর আগমন ঘটবে কল্কি যুগের শেষে। অধর্মের নাশ করে অন্ধকার আর পাপ জর্জর পৃথিবীর অবসান ঘটিয়ে তিনি সূচনা করবেন আবার সত্যযুগের। পুরাণে তাঁকে ব্রাহ্মণ যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করেছে। তিনি ব্রহ্মক্ষত্রীয়।

কল্কি শব্দটি সময়ের রূপকার্থে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির উৎসমূল সংস্কৃত শব্দে খুঁজে পাওয়া যায়, কলকা অর্থ অশুভ। বর্তমানে কল্কি শব্দের অনুবাদ করা হয় অশুভ ধ্বংসকারী, অজ্ঞতা ধ্বংসকারী অথবা অন্ধকার দূরকারী হিসেবে।সংস্কৃতে অবশ্য কল্কি কথা অর্থ সাদা ঘোড়া।

গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে কল্কি অবতার প্রসঙ্গে বিস্তারিত বিবরণ আছে।

কল্কি পুরাণ অনুসারে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে আবির্ভূত হবেন কল্কি অবতার। তাঁরা চার ভাই। কল্কি, সুমন্ত, প্রাজ্ঞ ও কবি। এঁরা ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য কল্কিকে সাহায্য করবেন। কল্কির দেবের জন্মদাতা পিতা বিষ্ণুর পরম ভক্ত বিষ্ণুযশ, তিনি বেদ পুরাণে সর্বজ্ঞ। মায়ের নাম হবে সুমতি।

কল্কি দেবের গুরু হবেন পরশুরাম। তিনি ও বিষ্ণুরই আর এক অবতার। পরশুরামের নির্দেশে শিব সাধন করে দৈব শক্তি লাভ করবেন কল্কি।

kalki

কল্কির সাদা রঙের ঘোড়া। এই ঘোড়ার নাম হবে দেবদত্ত। এই ঘোড়ার পিঠে চেপেই পাপীদের বিনাশ করবেন কল্কি। তাঁর অস্ত্র তলোয়ার। কল্কিদেবের দুই স্ত্রী। এক স্ত্রী পদ্মা ও অপর স্ত্রী রমা। দেবী লক্ষ্মীর আর এক রূপ হল পদ্মা। রমা বৈষ্ণবী শক্তি।  জয়, বিজয়, মেঘওয়াল ও বালাহক নামে চার পুত্র সন্তানের জনক হবেন তিনি।

 কল্কি জয়ন্তীতে বিষ্ণুর আরাধনার রীতি রয়েছে। পূজা অর্চনার পাশাপাশি এদিন দরিদ্রদের খাদ্য দান করা হয়।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...