করোনা থেকে বাঁচবেন কীভাবে

করোনা থেকে বাঁচবেন কীভাবে

কোবিদ-১৯ এত এর প্রভাব প্রতিপত্তি যত বাড়ছে তত উঠে আসছে 'ইমিউনিটি' শব্দটি। মানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক এখনও সামনে আসেনি। তারওপর এই ভাইরাস এতটাই অচেনা এবং নিজেকে বদলে নিতে ওস্তাদ যে ভাইরাসকে কাবু করা প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা জোর দিচ্ছেন মানুষের রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর ওপর। অর্থাৎ শরীরের আভ্যন্তরীণ দেওয়াল যদি মজবুত থাকে তাহলে বাইরের শত্রু তাকে কাবু করতে পারবে না। বাঁচা সম্ভব হবে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে। কিন্তু কীভাবে বাড়বে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা?

মেডিকেল প্রফেশনালরা বলছেন, ইমিউনিটি বাড়ানোর মানে এই নয় যে বাইরে থেকে প্রচুর সাপ্লিমেন্ট আর ভিটামিন কিনে খেতে হবে। আর তা করলেও যে খুব ফল মেলে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পৃথিবীর প্রথম সারির চিকিৎসা এক্ষেত্রে একেবারে ঘরোয়া দাওয়াইকেই মহৌষধ মেনেছেন।কী বলছেন ওঁরা? আসুন একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

● স্ট্রেস লেভেলকে কিছুতেই বাড়তে দেওয়া যাবে না।
চারপাশের পরিস্থিতিতে সকলেই আতঙ্কিত। মানসিক চাপ আর অস্থিরতা দুই বাড়ছে। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধের দেওয়ালটিকে ভীষণভাবে আঘাত করে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ইনফেকশন ডিজিজ- এর অধ্যাপক মরগান কাটজ বলেছেন, ' প্যানিক করবেন না মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন'। সেটাই বাঁচার ওষুধ।

● অনেকেই মেডিটেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। মগজ- মন স্ট্রেস ফ্রি থাকলে তবেই হরমোন ব্যালেন্স ঠিক থাকবে।

● ঘরবন্দী থাকলে হতাশা আসা স্বাভাবিক। ফ্রী- হ্যান্ড, ওয়ার্ক আউট করতে পারেন। দিনে অন্তত ৩০-৬০ মিনিট। তবে কোনভাবেই জিম বা রাস্তায় বেরিয়ে নয়। বাড়ির মধ্যে।

● প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৮ ঘন্টা এবং শিশুদের জন্য আর একটু বেশি। তাতে স্নায়ু সুস্থ থাকবে।

● খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত সবজি, শাক, বিশেষ করে পাতা জাতীয় খাবার খেতে বলছেন চিকিৎসকরা তেল, চিনি, নুন যতটা সম্ভব কম করে।সঙ্গে প্রচুর জল। সম্ভব হলে প্রতিদিন টক দই।

● তবে ধূমপায়ীদের সাবধান করেছেন চিকিৎসকরা ফুসফুসের ওপর চাপ পড়ে, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কাজ থেকে শত যোজন দূরে থাকতে বলেছেন তাঁরা।

● ভিটামিন- ডি আর মিনারেলের মাত্রা শরীরে ঠিক থাকলে কোনও সাপ্লির দরকার পড়বে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...