এবার থেকে মাধ্যমিকের খাতা দেখার সময় প্রশ্নের উত্তরে কোনও পরীক্ষার্থীকে কম নম্বর দিলে, পরীক্ষক কেন কম নম্বর দিলেন তা উল্লেখ করতে হবে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাতা দেখার ক্ষেত্রে দায়িত্ব বেড়ে গেল পরীক্ষকদের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশ অনুযায়ী খাতা দেখা হলে পরীক্ষার্থীদের নম্বর নিয়ে অভিযোগ জানানোর প্রবণতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রশ্নের কম নম্বর পাওয়ার কারণ জানানোর পাশাপাশি আরও একটি নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরীক্ষকদের। তা হল প্রতিটি উত্তরের সঙ্গে নম্বর দিতে হবে। অর্থাৎ একটি প্রশ্নের যদি একাধিক বিভাগ থাকে, সেক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগের পাশে নম্বর দিতে হবে। আগে যেখানে পরীক্ষকরা একটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে এক জায়গাতেই নম্বর দিতেন, এবার থেকে তা আর করা যাবেনা। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র পরীক্ষকদের বিতরণ করা হয়েছে। সেই সময়েই এই নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়েছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, খাতা দেখা নিয়ে নানা সময় কম-বেশি অভিযোগ ওঠে। কখনও আবার পড়ুয়ারা আরটিআই করে খাতা দেখতে চায়। অনেক মামলাও হয়েছে এসব নিয়ে। তাই এসব ঝঞ্ঝাট এড়াতে পরীক্ষকদের দায়িত্ব বৃদ্ধি করা হল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী উত্তরের পাশে কম নম্বরের কারণ লেখা থাকলে বোর্ড সরাসরি তাদের জানিয়ে দিতে পারবে। তবে খুব সংক্ষেপে কারণ দর্শাতে হবে। অপরদিকে শিক্ষকদের মতে এমনিতেই খাতা জমা দেওয়ার সময় তিনদিন থেকে কমিয়ে দু'দিন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে খাতা দেখার পর কেন কম নম্বর দেওয়া হল তার কারণ লিখতে গেলে কিছুটা বাড়তি সময় লেগেই যাবে। এর ফলে খাতা জমা দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে খাতা দেখার ক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়ন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। শিক্ষকদের বক্তব্য, খাতা দেখার সময় একদিন না কমিয়ে বরঞ্চ একদিন বাড়ানো উচিত ছিল।