এভারেস্টে এখন থেকে যে কেউ চড়তে পারবেনা। রীতিমতো ট্রেনিং থাকতে হবে পাহাড়ে চড়ার। অভিজ্ঞতা থাকতে হবে শিখর জয়ের, থাকতে হবে সুস্থ শারীরিক গঠন এবং দুর্ঘটনায় পড়লে তার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য যথাযথ ইনসিওরেন্স। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ বছর অক্সিজেনের অভাবে এভারেস্টে চড়তে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০০ জন পর্বতারোহীর। সেই অবস্থাকে আটকাতেই এই ব্যবস্থা বা সিদ্ধান্ত নিল নেপাল সরকার।
গত চার বছরে এভারেস্ট অভিযানে পর্বতারোহীদের মৃত্যু বেড়েই চলেছে। চলতি বছরেই মে মাসে নেপাল ও তিব্বতে মোট ১১ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন এভারেস্টের দক্ষিণ দিক থেকে এগোচ্ছিলেন, এই কারনে এই বছরটিকে অপয়া মনে করছে অনেকেই। তাই নেপাল সরকার একটি প্যানেল গঠন করেছে এভারেস্ট পর্বতারোহী নির্বাচন করার জন্য। সেই প্যানেলে থাকবেন সরকারি অফিসার, ক্লাইম্বিং এক্সপার্ট ও ক্লাইম্বিং কমিউনিটির প্রতিনিধিরা। তাঁরাই আরোহী এবং গাইড বাছাই করবেন।
বুধবার অর্থাৎ ১৪ আগস্ট এই কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়, যে সমস্ত পর্বতারোহী ইতিমধ্যেই ৬,৫০০ মিটার( ২১,৩২০ ফিট) উচ্চতাবিশিষ্ট পাহাড় চড়ার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, একমাত্র তাঁরাই এভারেস্টে চড়ার অনুমতি পাবেন। প্রত্যেক আরোহীকে অভিজ্ঞ গাইড নিয়ে যেতে হবে। এভাবে মৃত্যু মিছিলের কারণে নেপাল সরকারকে সারা বিশ্বের সামনে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহন করার জন্য প্রচুর আরোহী কীভাবে ছাড়পত্র পায়, তা নিয়েও কথা-বার্তা হয়েছে যথেষ্ট। তাই এবারে নেপাল সরকার কঠোর হাতে এই মৃত্যু মিছিল বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।