রাজ্যের একটি মাত্র জাতীয় সরোবরের পরিবেশ রক্ষায় দিনের পর দিন অবহেলার প্রতিকার করতে পরিবেশপ্রেমীরা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন। এমনই একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের কর্তা নব দত্ত জানান, কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর রাজ্যের একটিমাত্র জাতীয় সরোবর। এটির পরিবেশ রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সরোবরটির পরিবেশ রক্ষা করা যাচ্ছেনা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে যথেষ্ট তৎপর, তাই পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের তরফ থেকে ওনার কাছে আর্জি জানানো হবে, সেই বিষয়ে তিনি যেন একটু নজর দেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় পরিবেশ আদালত আট দফা নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশাবলীর মধ্যে মাত্র একটি কিছুটা মেনে চলা হলেও বাকি সাতটি একদমই মানা হয়না। রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ আদালত এই চত্বরে যে কোনও ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ, প্লাস্টিকের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ, একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরী করে সরোবরের জলে সরাসরি যে নিকাশির জল মিশছে, তা নিয়ন্ত্রণ সহ নানা নির্দেশ দেয়। হকারদের যথেচ্ছ আসা-যাওয়া তেও রাশ টানার কথা বলা হয়েছিল। এগুলি ২০১৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে কার্যকর করার কথা। ২০১৯-এর প্রায় শেষের দিকে এসে গেছি আমরা, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এগুলির কিছুই তো প্রায় মানা হচ্ছেইনা, বরঞ্চ বাণিজ্যিক ছবির শ্যুটিং, জন্মদিনের পার্টি, রাজনৈতিক সভা ইত্যাদি সবই হচ্ছে সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে। এসব অনিয়ম নিয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে উল্টে তাকেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
তাই সঙ্গত কারণেই পরিবেশ রক্ষার্থে পরিবেশপ্রেমীরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।