জলে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে ‘এয়ারেটর’ যন্ত্র বসতে চলেছে কলকাতার সুভাষ সরোবরে। এরফলে লেকের জলজ প্রাণীদের সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, গোটা সরোবর জুড়ে মোট ৮টি এয়ারেটর যন্ত্র বসাবে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। সুভাষ সরোবরের মোট আয়তন প্রায় ৩৯.৫ একর। সে কারণে প্রায় ৩০-৪০ মিটার অন্তর একটি করে যন্ত্র বসাতে হবে। কিন্তু কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্র?
আদতে এই যন্ত্রে এক ধরনের চাকা লাগানো থাকে। জলে এই চাকা অনবরত ঘুরতে থাকে। এরফলে জলে গভীর আলোড়নের সৃষ্টি হয় ও জলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের দাবী, যে সমস্ত জলাশয়ে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর সংখ্যা বেশি, সেই সব জায়গায় এই ধরনের যন্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। এরফলে জলজ প্রাণীরা সুস্থভাবে জলে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে এই সরোবরে জলজ প্রাণীদের মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখা যায়। এর কারণ মূলত জলদূষণ ও আবহাওয়ার পরিবর্তন। জলদূষণের ফলে জলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন চলাচল করে না। ফলস্বরূপ জলজ প্রাণী মরতে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সরোবরের জলে প্লাস্টিক ফেলা হয়, এটাও জল দূষিত করে তোলে।
কিন্তু এয়ারেটর যন্ত্র বসানোর ফলে জলে অক্সিজেনের মাত্রা সঠিক থাকবে। তবে, জলে এই যন্ত্র বসানোর পর এটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।