৭১ বছর পর ভরাডুবি, ক্যাঙ্গারুদের প্রত্যাঘাতে দর্পচূর্ণ ইংল্যান্ডের

আকাশ মেঘলা না থাকায় পরিস্থিতি পেস সহায়ক ছিল না, পরিবর্তে ছিল রোদের সান্নিধ্য। উইকেটও ছিল ব্যাটিং সহায়ক; তবু শেষ রক্ষা হল না। অ্যাসেজের দ্বিতীয় দিনে বল হাতে ঝলসে উঠলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। আর তার ফলস্বরূপ মাত্র ৬৭ রানের মধ্যেই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। হ্যাজেলউড-কামিন্স জুটির উপর ভর করে এই মূহুর্তে প্রায় চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া।

হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনটি ইংল্যান্ডের পক্ষেই অবস্থান করছিল। টস জিতে প্রথমে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৯ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দিনের সূচনা করেন জফ্রা আর্চার-স্টুয়ার্ট ব্রড’রা। প্রথম ইনিংসে আর্চার একাই ৪৫ রানের বিনিময়ে ৬টি মূল্যবান উইকেট তুলে নেন। স্টুয়ার্ট ব্রড ২টি এবং ক্রিস ওয়ক্স ও বেন স্টোক্স্‌ ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।

জবাবে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬৭ রানেই ব্রিটিশ ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। সুইং আর বাউন্সের ধারাবাহিক ব্যালেন্সের মিশ্রণে ৫ উইকেট শিকার করে দল’কে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন জোশ হ্যাজেলউড। এই নিয়ে সপ্তমবার টেস্টে ৫ উইকেটের রসাস্বাদন করেন হ্যাজেনউড। অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন মাত্র এক ওভার বল করার সুযোগ পান, দলের পেসাররা মিলেই সেরে ফেলেন বাকি কাজ। প্যাট কামিন্স ৩টি ও জেমস প্যাটিনসন ২টি করে উইকেট তুলে নেওয়ায়, দ্বিতীয় দিনের শেষে স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখা যায় ক্যাঙ্গারু বাহিনীকে।

১৯৪৮ সালে ওভালে ৫২ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বিরূদ্ধে এখনও পর্যন্ত এটিই ইংল্যাণ্ডের সর্বনিম্ন স্কোর। মাত্র ২৭.৫ ওভার ক্রিজে ছিল ইংল্যাণ্ড। ডেনলি-স্টোক্সের মিলিত ১২ রানের পার্টনারশিপই ছিল এই ইনিংসের সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ। জো ডেনলি (১২) বাদে সকলকেই এক অঙ্কের ঘরে বিদায় নিয়ে প্যাভিলিয়নমুখী হতে হয়েছে। কিছুদিন আগে আয়ারল্যাণ্ডও ইংল্যান্ডকে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯২ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিল।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ইনিংসে মিলিত রানের সুবাদে ৩৫৮ রানে এগিয়ে তারা। এই জয় নিশ্চিত করতে পারলে সিরিজে ২-০ এর ব্যবধানে এগিয়ে যাবে ক্যাঙ্গারু বাহিনী। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...