হিচককের থ্রিলারকে হার মানাল ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়

১০০ ওভারের ক্রিকেট দুই দলকে আলাদা করতে পারল না, সুপার ওভারও দুই দলকে আলাদা করতে পারল না, শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির হিসেবে প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড আবারও দুর্ভাগ্যের শিকার।

রবিবার মেগা ফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। লর্ডসে সবুজ পিচে বল সুইং করার সুযোগ ছিল বটে, তবে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেন ওপেনার হেনরি নিকোলস। ৭৭ বলে ৫৫ করে কিউইদের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন মাঝেক্যাপ্টেন কেন’ (৫৩ বলে ৩০) টম ল্যাথাম (৫৬ বলে ৪৭) বড় রানের লক্ষ্যে নির্ভরযোগ্য ইনিংস খেলা শুরু করে কিন্তু ইংল্যান্ডের কড়া বোলিংয়ে তারা ৫০ ওভারে উইকেট ২৪১ রান অবধিই যেতে পারে। ক্রিস ওকস লায়াম প্লাঙ্কেট উভয়ই উইকেট করে পান 

যে কোনও ফাইনালে, রান তাড়া করা সবথেকে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায় আর সেই অতিরিক্ত চাপ যেন লক্ষ্যমাত্রার সাথে আরও ২০-৩০ রান যোগ করে দেয় আর সেই চাপ ফেলতে বিন্দুমাত্র সঙ্কোচ বোধ করে নি কিউই বোলাররা। রান তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের শুরুটাও যথেষ্ট ভালো হয়নি। প্রথমদিকে ম্যাট হেনরির দুর্দান্ত স্পেলে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় জনি বেয়ারস্টো। আর সেই চাপ সৃষ্টি করে রয়কে তুলে নেন হেনরি। উইকেট পাওয়ার পর নিউজিল্যান্ড একেবারে ঘাড়ে চেপে বসেছিল আয়োজক দেশেরএকসময় ৮৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে ইংরেজরা। তখনই আসরে নামে বেন স্টোকস জস বাটলার। ১১০ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপে তারা ইংল্যান্ডকে ফের ম্যাচে ফিরিয়ে আনেবাটলার প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও  শেষ অবধি লড়ে যান বেন স্টোকস (৯৮ বলে ৮৪ নট আউট) কিন্তু সঙ্গীর অভাবে ম্যাচ জেতাতে না পারলেও ম্যাচটিকে টাই করে দেন স্টোকস।তবে খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারত যদি বোল্টের বাউন্ডারী লাইনে ক্যাচ আর গাপটিলের ওভার থ্রোতে অতিরিক্ত রান না আসত। খেলা গড়ায় প্রথম সুপার ওভার।

 ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে নামে বেন স্টোকস জোস বাটলার নিউজিল্যান্ডের হয়ে বলে করতে আসে ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম বলে স্টোকস রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন বাটলারকে দ্বিতীয় বলে বাটলার সিঙ্গল দেন স্টোকসকে। তৃতীয় বলে স্লগ সুইপ মেরে বাউন্ডারি মারেন স্টোকস চতুর্থ বলে স্টোকস পয়েন্টে শট মেরে সিঙ্গল নেন পঞ্চম বলে বাটলার কভারে রান নেন, আর শেষ বলে বাটলার ডিপ স্কোয়ার লেগের ওপর দিয়ে বাইন্ডারী মারে সুপার ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ১৫ রান।

১৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ক্রিজে নামেন মার্টিন গাপ্টিল জিমি নিশাম বল হাতে তৈরি জোফ্রা আর্চার। প্রথম বলেই ওয়াইড করে বসেন আর্চার। এরপর ওভারের প্রথম বলে লং অফে রান নেন নিশাম দ্বিতীয় বলে মিড উইকেটে মারেন নিশাম তৃতীয় বলে ডিপ মিড উইকেটে মেরে রান নেন নিশাম চতুর্থ বলে ফের একই জায়গায় রান নেন নিশাম, পঞ্চম বলে আর্চারের শর্ট বলে কোনওরকমে একটি সিঙ্গল দিয়ে গাপ্টিলকে স্ট্রাইক দেন নিশাম, আর শেষ বলে দুইরান নিতে গিয়ে জেসন রয়ের দুর্দান্ত থ্রোয়ে বাটলার রান আউট করে দেন গাপ্টিলকে। এবার সুপার ওভারও টাই। ইনিংসে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে ইংল্যান্ড ২০১৯ এর আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিজয়ী হয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...