খেলাধুলোয় উৎসাহ দিতে নতুন নির্দেশিকা রাজ্য স্তরে। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্কুল শিক্ষা পর্ষদ সিবিএসই স্কুলস্তরে খেলাধুলোয় উৎসাহ দিতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল। এবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনার সৌমিত্র মোহনও প্রায় একই ধরনের নির্দেশিকা জারি করলেন। যাতে বলা হয়েছে, রাজ্য, দেশ বা আন্তর্জাতিক স্তরের স্কুল স্পোর্টসে কোনও পড়ুয়া অংশগ্রহণ করলে, সে যেন সমস্যায় না পড়ে। সে কোনও পরীক্ষা দিতে না পারলে তার জন্য পৃথক ব্যবস্থাও করতে হবে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শারীরশিক্ষা বা খেলাধুলোর শিক্ষকদেরও অন ডিউটি লিভ দিতে হবে, যাতে তাঁরা দল নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
তাছাড়া শারীরশিক্ষার (ফিজিক্যাল এডুকেশন) শিক্ষকদের অন্য কোনও ক্লাস বা কাজ দেওয়া যাবে না। তাঁরা শুধুমাত্র খেলাধুলোর বিষয়টিই দেখবেন। যেহেতু অলিম্পিক বা আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও ক্রীড়া বা অ্যাথলেটিক্স ইভেন্টে ভারতের ফলাফল বিশেষ আশানুরূপ হয়না। তাই স্কুলস্তর থেকেই যাতে প্রতিভা তুলে আনা যায়, সে ব্যাপারটায় আরও বেশি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। তাই এই বিশেষ নির্দেশ গুলি করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যেমন স্কুলস্তরে প্রতিভা অন্বেষণের জন্য একটি দল তৈরি করছে। ঠিক তেমনি কিছু শিক্ষক, যাঁদের অ্যাথলেটিক্স বা যে কোনও অনুমোদিত খেলায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের বেছে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যেই আবার কেউ রাজ্য, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকলে, তারাও সেই অনুযায়ী অগ্রাধিকার পেয়েছেন। এই শিক্ষকদের পেশাদার কোচরা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁরা এবার রাজ্যের বিভিন্ন স্তরে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন। তাছাড়া প্রতিভা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের খুঁজে বের করবেন। আর এদের স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) প্রশিক্ষণও দেবে। স্কুলস্তরের ক্রীড়া খাতেও টাকা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে রাজ্যের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি স্কুলকেই 'ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল ফর স্কুল স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস' থেকে অনুমোদন নিতে হবে। শিক্ষকদের অন ডিউটি লিভ দিতে চাইলে, আগে থেকে এই কাউন্সিল এবং প্রধান শিক্ষক আবেদন জানাবেন। তার পরেই পাওয়া যাবে ছাড়পত্র। তাছাড়া জেলা স্তরে প্রতিযোগিতার জন্য ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ফর ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড ইউথ ওয়েলফেয়ার-এর থেকে আবেদন আনতে হবে। তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। প্রতিটি স্কুলকেই জেলা বা মহকুমা স্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য দল পাঠাতে হবে। প্রতিযোগী দলের থাকার জন্য স্কুলের অংশবিশেষ বা গোটা বিল্ডিংই প্রয়োজনে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে এর জন্য প্রতিদিনের পড়াশুনাতে যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেই দিকেও নজর রাখতে হবে।