পিছিয়ে পড়া মহিলারা অর্থাৎ তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি মহিলাদের এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে ‘প্রয়াস’। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে এবার থেকে কৃষিকাজ করেই স্বনির্ভর হতে পারবেন এই সমস্ত মহিলারা। এই প্রকল্পের অধীনে নেওয়া হয়েছে মালদহ জেলার দুইটি গ্রামকে। একটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম অপরটি তপশিলি গ্রাম।
পশ্চিমবঙ্গের মালদহে অবস্থিত আইসিএআর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। সেখানেই এই মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এই প্রকল্পটি ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পর্ষদের পাটনা শাখার। ফলে, তাদের উদ্যোগেই এই প্রকল্পের কাজ গোটা দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই মালদহ কৃষি বিজ্ঞানের সাথে যৌথ উদ্যোগেই মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে যে কেন্দ্রীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগেই সমস্ত মহিলাদের আধুনিক কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিভাবে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করা যাবে, সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রকল্পের বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা প্রমিলা বর্মন জানিয়েছেন যে তাঁদেরকে সমস্ত ধরনের ফসল চাষ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কোন ফসল চাষ করলে বেশি লাভবান হব সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি কাজের বিভিন্ন যন্ত্র সামগ্রী বীজ প্রদান করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে যে এই কৃষিকাজের সমস্ত খরচ সরকারি ভাবেই বহন করা হচ্ছে। শুধু মহিলারা এই প্রশিক্ষণ নিয়েই মাঠে গিয়ে কাজ করবেন।
এই বিষয়ে ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পর্ষদের পাটনা শাখার প্রধান বিজ্ঞানী বিকাশ সরকার জানিয়েছেন যে ‘প্রয়াস’ একটি নতুন প্রকল্প নিয়েছেন তাঁরা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি আধ্যুষিত এলাকায় কৃষিকাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই স্বনির্ভর হতে পারবেন। কৃষি কাজের বিভিন্ন সামগ্রী ও বিতরণ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে যে এই প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে মালদহ জেলার গাজোল ব্লকের চন্দনদিঘি ও হবিবপুর ব্লকের বেগুনবাড়ি গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই দুটি গ্রামের মহিলাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কৃষিকাজ শেখানো হচ্ছে।
সরকার আশাবাদী যে আগামী দিনে এই মহিলা কৃষকেরা কৃষিকাজ করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। এছাড়া সকল মহিলারাই সরকারিভাবে কৃষি কাজের প্রশিক্ষণ পেয়ে খুবই খুশি।