মূলত সুফী ঘরানার শিল্পী তিনি। প্রখ্যাত পাক-সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ নুসরত ফতেহ আলী খান এবং উস্তাদ ফারুখ ফাতেহ আলী খানের উত্তরসূরী। ‘আফরি আফরি ‘, ‘দিল তো বাচ্চা হে জি’, ‘জিয়া ধাড়াক’, -তঁর গাওয়া প্রায় প্রত্যেকটি গানই এ দেশের শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। ‘পাপ’, ‘ওমকারা’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘লাভ আজকাল’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই’, ‘রেডি’, ‘বডিগার্ড’, ‘জান্নাত ২ ’, ‘হিরোইন’, ‘দাবাং’, ‘দাবাং ২ ’, ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’সহ বলিউডের অসংখ্য ছবির জনপ্রিয় গানে ‘প্লেব্যাক’ করেছেন। এবার বিশেষ সম্মানে ভূষিত হলেন সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। সঙ্গীতে তাঁর দখল ও অনন্য অবদানের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’র সম্মানে সম্মানিত করেছে। বুধবার বিকেলে তাঁর উপস্থিতিতে এই মর্যাদা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১৬ সালে তাঁকে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ সম্মাননা দিয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
রাহাত ফতেহ আলী খানের সঙ্গে আরও সাত ব্যক্তি এই সম্মাননা পান। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুফি গান ও কাওয়ালির কিংবদন্তি হিসেবেও অভিহিত করে পাকিস্তানের এই গায়ককে। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাহাত বলেন, “আজকের দিনটি আমার ও আমার পরিবারের জন্য একটি বিশেষ দিন। একই সঙ্গে যে মানুষগুলো আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা ও সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা।“
রাহাত ফতেহ আলী খান উস্তাদ নুসরত ফতেহ আলী খানের ভাগ্নে এবং উস্তাদ ফারুখ ফতেহ আলী খানের ছেলে। পুরাণখ্যাত কাওয়ালি শিল্পী ফতেহ আলী খান তাঁর ‘নানা’। এ পর্যন্ত রাহাতের প্রকাশিত অ্যালবামের সংখ্যা ৫০টির বেশি। তাঁর পরিবার তাঁদের সঙ্গীত ঘরানার জন্য সারা দক্ষিণ এশিয়ায় সুপরিচিত। সুফি- কাওয়ালি সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে বহন করার জন্য রাহাতকে তাঁর ‘চাচা’ নিজের তত্ত্বাবধানে তালিম দেন এবং মাত্র তিন বছর বয়স থেকে রাহাত গাওয়া শুরু করেন। পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতেও তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর।
Here to the world and all the well wishers of #UstadRahatFatehAliKhan Presenting Dr Rahat Fateh Ali Khan@UniofOxford pic.twitter.com/JrxXSd9IrP
— Rahat Fateh Ali Khan (@RFAKWorld) June 26, 2019