আমরা যদি স্পেস এক্স-এর সিইও ইলন মাস্ক-এর ট্যুইট দেখি, সেখানে দেখতে পাব, স্পেস এক্স প্রতি বছর ১০০ টি স্টার শিপ তৈরি করবে বলে তিনি দাবি করেছেন। সেই সমস্ত স্টার শিপগুলি তাদের পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্বভাব সহ প্ৰায় ১,০০,০০০ মানুষ নিয়ে পাড়ি দিতে পারবে। মঙ্গল গ্রহ এবং পৃথিবী যখন সুসঙ্গতভাবে কক্ষপথে চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে, তখন এটি সম্ভব হবে।
এই কক্ষপথে সুসঙ্গতভাবে কীভাবে আসা সম্ভব যদি আমরা খতিয়ে দেখি, তাহলে দেখব, প্রত্যেক ২৬ মাস অন্তর পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ যথেষ্ট কাছাকাছি আসে। তার ফলে তাদের দূরত্বও অনেক কমে যায়। এর ফলে কী আদৌ মঙ্গলগ্রহে যাওয়া সম্ভব? সেক্ষেত্রে ইলন বলছেন, সম্ভব। ট্যুইটারে একজন মাস্ককে জিজ্ঞাসা করেছেন, তিনি কী কোনওভাবে মঙ্গলগ্রহকে বাসযোগ্য করার কথা ভাবছেন? তিনি সেক্ষেত্রেও আশ্বাস দিয়েছেন। তাও সম্ভব বলেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, 'স্টারশিপ ডিজাইন গোল' হল দৈনিক ৩টে ফ্লাইট কক্ষপথে পাঠানো।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন, মঙ্গল গ্রহকে হোম প্ল্যানেটে পরিণত করে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। কেউ যদি মঙ্গলগ্রহে যেতে চান, তাহলে তাঁকে যথেষ্ট নিবেদিত হতে হবে। যদি কারো কাছে সেই কারণে অর্থের প্রয়োজন হয়, তাহলে স্পেসেক্স তাদের লোন দেবার জন্যও তৈরী থাকবে। তিনি আরও বলেন, কেউ যদি চান, মঙ্গল গ্রহে গিয়ে কাজ করতে, তাও সম্ভব, সেখানে প্রচুর কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তবে এখনই নির্দিষ্টভাবে সেই কাজের সম্বন্ধে কিছু ভাবা হয়নি। সমস্ত পরিকল্পনা যাতে সার্থক ভাবে রূপায়িত করা যায়, তার চেষ্টা করতে হবে বলেও জানান তিনি তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে। তিনি সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাঁরা মঙ্গলগ্রহে যেতে ইচ্ছুক, তাঁরা যেন তাঁর অ্যাকাউন্টে কমেন্ট করে জানিয়ে দেন।
Starship design goal is 3 flights/day avg rate, so ~1000 flights/year at >100 tons/flight, so every 10 ships yield 1 megaton per year to orbit
— Elon Musk (@elonmusk) January 17, 2020