সমস্ত জীবকূলেরই রয়েছে হৃদয়। মানুষ তো বটেই প্রকৃতি সৃষ্ট যে কোনও প্রানীই অবস্থান ভেদে প্রকাশ করে তাদের নিজস্ব অনুভূতি। মানুষ এবং পশুপাখির মধ্যে অনুভূতি প্রকাশের খুব একটা পার্থক্য যে নেই তার প্রমান আমরা যুগ যুগ ধরেই পেয়ে আসছি। সম্প্রতি ফের একবার সেই প্রমাণ পাওয়া গেল সোশ্যাল মিডিয়ায় বনদপ্তরের এক অফিসারের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে। ভিডিওয় ফুটে উঠেছে সদ্য সন্তান হারানো এক হস্তিনীর গল্প। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
প্রবীণ কাসওয়ান নামে বনদপ্তরের এক অফিসার কয়েকদিন আগে নিজের টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি হাতি রাস্তায় উঠে আসে। তার শুঁড়ে জড়ানো রয়েছে সদ্য মৃত সন্তানের দেহ। রাস্তা পেরিয়েই মায়ের শুঁড় থেকে খসে পড়ে মৃত সন্তানের দেহ। কিন্তু সেটি ওঠানোর কোনও চেষ্টাই করে না মা হাতিটি। যেন সন্তানের মৃত্যুর ভার আর বইতে পারছে না সে। তখনই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হাতির একটি পাল। তাতে বড়-ছোট সব রকম হাতিরই উপস্থিতি সেখানে। এদেরই মধ্যে একজন এসে মা হাতিকে সান্ত্বনা দেয়। খানিক পর মা হাতি ফের শুঁড়ে তুলে নেয় মৃত সন্তানের দেহ। সন্তান হারানো হস্তিনী শাবকের শব শুঁড়ে তুলে রওনা দেয় গহীন জঙ্গলের পথে।
প্রবীণ কাসওয়ান ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, “নিজের মৃত শিশুকে নিয়ে শেষ যাত্রায় শামিল এক হস্তিনী। পরিবার কোনওভাবেই শিশুটিকে ছাড়তে চাইছে না।” অন্য একটি টুইটে তিনি লেখেন, এটি হাতিদের পুরনো রীতি। অনেকের মুখে তিনি এসবের কথা শুনেছেন। কিন্তু প্রমাণ পাননি। শোনা যায়, মানুষের মতো হাতিদেরও জঙ্গলের মধ্যে গোরস্থান থাকে। সেখানে হাতিদের দেহ সমাধিস্থ করা হয়। সেই পবিত্রভূমি নাকি হয় জঙ্গলের ভিতরে নদীর তীরবর্তী কোনও অঞ্চল। তবে এ কথার প্রমাণ এখনও মেলেনি সেভাবে।
This will move you !! Funeral procession of the weeping elephants carrying dead body of the child elephant. The family just don’t want to leave the baby. pic.twitter.com/KO4s4wCpl0
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) June 7, 2019