পর পর দুই রাতে বড়দীঘি চাবাগান এলাকায় ৫টি শ্রমিক আবাস ভেঙে তছনছ করে ধুলিসাৎ করল বুনো হাতি। বিপন্ন শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা পলিথিন চাদর টাঙিয়ে থাকছে। প্রতি রাতে হাতির আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হাতি তাড়ানোর পটকা, সার্চ লাইট দাবী করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মেটেলি ব্লকের বড়দীঘি চা বাগানের রামচন্দ্র লাইন শ্রমিক বস্তিতে।
গরুমারা বনাঞ্চল সংলগ্ন বড়দীঘি চাবাগানে হাতির হানা নিয়মিত হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই চাবাগানের শ্রমিক বস্তিতে বুনো হাতি হানা দিয়ে চরন মাহালী ও হাবিল হোরোর শ্রমিক আবাস ভেঙে তছনছ করে। চাল আটা আনাজপাতি সাবাড় করে চলে যায়। ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই শুক্রবার রাত ২টা নাগাদ আবার ওই শ্রমিক বস্তিতে বুনো হাতি হানা দেয়। কুলদীপ উরাও, সোহন লাগুন ও জোহান মাহালীর ঘর ভেঙে ধুলিসাৎ করে। ঘরে রাখা চাল আটা আনাজপাতি খেয়ে দুই ঘন্টা তান্ডব করে আবার বনে ফিরে যায়।
বনাঞ্চল সংলগ্ন হওয়ায় এই চাবাগানে বিভিন্ন শ্রমিক বস্তিতে গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি শ্রমিক আবাস হাতির হানায় ভাঙা পড়েছে। রাতের পর রাত জেগে থাকতে হচ্ছে সবাইকে। এতেই ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। তারা নিয়মিত টহলদারী ও হাতি তাড়ানো সরঞ্জাম দাবি করেছে। গরুমারা জঙল সংলগ্ন এলাকায় চাবাগান হওয়ায় বন্য জন্তুর আক্রমন প্রায় প্রতি রাত্রের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। এরকম ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বনবিভাগ। শুধু হাতিই নয় এই অঞ্চলে ক্রমশ বাড়ছে চিতাবাঘ ও বাইসনের হানা। গরমে জঙ্গলে জলের সংকট ও খাদ্য সংকটের জেরেই বন্য পশুরা চলে আসছে লোকালয়ে এমনটাই মত পশু বিশেষজ্ঞদের।