ইলেকট্রনিক ট্যাগিং শুধরে দিচ্ছে অপরাধীদের

অপরাধীদের জন্য এক অভিনব উপায় বের করেছে নেদারল্যান্ড সরকার। অপরাধীদের জেলে রাখার কারণই হলো তাদের চারিত্রিক সংশোধন করা। যাতে জীবনে চলার পথে তারা আবার একই জাতীয় অসৎ কাজে লিপ্ত না হয়। কিন্তু বিশ্বের সর্বত্রই এই সংশোধনাগার শব্দটি মানুষের সংশোধনের কাজে সত্যিই কতটা আসে তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। তাই নেদারল্যান্ডে সম্প্রতি চালু করা হয়েছে ইলেক্ট্রনিক ট্যাগিং পদ্ধতি যাতে তারা অপরাধের পথে যাওয়ার কথা চিরতরেই বের করতে পারে তাদের মধ্যে থেকে। কি এই ইলেক্ট্রনিক ট্যাগিং?

            নেদারল্যান্ডসে অপরাধীদের জেল থেকে ছাড়ার সময় পায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয় এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তারা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, তার ওপরে নজর রাখতে পারে পুলিশ এই যন্ত্রটির সাহায্যে। এটিতে লাগানো সেন্সরের মাধ্যমে সম্ভব হয়ে ওঠে এই মনিটরিং। গত বছরের রিপোর্ট বলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আমেরিকার লোকই জেলবন্দি হয়ে থাকে। তারপরে আসে রাশিয়া ও চীনের নাম। কিন্তু নেদারল্যান্ড-এর সমাজ ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত, এখানে লিঙ্গ বৈষম্য নেই, নারী পুরুষ সমানাধিকার রয়েছে। এই সুষ্ঠ ব্যবস্থাগুলি যেমন আছে তেমনই কিন্তু এখানে অপরাধীদের সংশোধনের জন্য এমনভাবেই ভাবা হয় যাতে তাদের জেলে আসামীদের সংখ্যা কমানো যায়।  

                তাই এই নতুন পদ্ধতি গ্রহণের কথা ভেবেছে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। আর এর ব্যবহার কিন্তু সত্যিই ফলপ্রসূ হয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এর ফলে অপরাধের হার কিন্তু কমে গিয়েছে আগের চেয়ে। বিগত আট বছরে ক্রাইম রেট ৮% কমে গিয়েছে। শুধরে গেছে জেল থেকে বেরোনো বহু অপরাধী। ফলে জেলের প্রয়োজন কমায় নেদারল্যান্ড সরকার এক এক করে বন্ধ করে দিচ্ছে জেলগুলি। তাদের এই সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে একটি উদাহরণ বাকি দুনিয়ার কাছে। 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...