অক্ষত রয়েছে 'বিক্রম'

চন্দ্রযান-২-এর অভিযান ইতিমধ্যেই বিশ্বের সব দেশেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট সময়ে ল্যান্ডার 'বিক্রমে'র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ইসরোর সকলের সঙ্গে গোটা দেশবাসী ভেঙে পড়েছিল, তবু বিজ্ঞানীদের পাশেই ছিল গোটা দেশ। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ইসরোর চেয়ারম্যানকে সান্ত্বনা দেওয়ার যে দৃশ্য সারা পৃথিবী দেখেছিল ৭সেপ্টেম্বর, তার মাধ্যমে অন্য এক প্রধানমন্ত্রী সামনে এসেছিলেন। তারপর ৮তারিখ অরবিটারের তোলা ছবির মাধ্যমে বিক্রমের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। হৈচৈ পড়ে যায় সকলের মধ্যে। 'বিক্রম' মহাকাশে হারিয়ে যায়নি, সেটাই ছিল সেদিনকার সবচেয়ে বড় খবর।

                   বিক্রমের খোঁজে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অরবিটার ৯৬x১২৫ কক্ষপথ থেকে চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকা ল্যান্ডারের ছবি পাঠায়। সোমবার ইসরোর বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, অরবিটারের পাঠানো বিভিন্ন ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অক্ষত আছে বিক্রম, সেটি ভেঙে পড়েনি। চাঁদের সঙ্গে তার দূরত্ব মাত্র হাফ কিলোমিটার। কারণ ওই জায়গার পুরোনো ছবি বিশ্লেষণ করে সেখানে কোনও বস্তু পাওয়া যায়নি। এটাই আপাতত আশার আলো। যদিও এই ঘটনা সরকারিভাবে ইসরোর তরফে জানানো হয়নি। তারা চেষ্টা চালাচ্ছে বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায় কি না, সেই বিষয়ে। চন্দ্রযান-২-এর সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিক জানান, যদি ল্যান্ডার বিক্রমের সবটা অক্ষত না থাকে, তাহলে নতুন করে সংযোগ স্থাপন করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হবে। হয়ত আর সংযোগ স্থাপন করা নাও যেতে পারে। তবে ইসরো টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই যোগাযোগ স্থাপন করাটা অত্যন্ত জটিল ব্যবস্থা। ইসরোর বৈজ্ঞানিক জানিয়েছেন, যদি বিক্রম থেকে সাড়া মেলে, তবেই যোগাযোগ করা যাবে, নইলে তা সম্ভব নয়। তাই চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে থাকা অরবিটারের মাধ্যমেও বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রজ্ঞানের কাজ করার জন্য দিন ক্রমেই কমে আসছে। হাতে রয়েছে মাত্র ১২ দিন। বর্তমানে ইসরো টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং এবং কম্যান্ড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আজকে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...