ওজন কমাতে উপোস নয়

বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে সকলেই চায় স্লিম চেহারা পেতে। পেশার কারণেই হোক বা সুন্দর দেখানোর তাগিদে রোগা ছিপছিপে চেহারাই এখন পছন্দ জেন ওয়াইয়ের।কিন্তু বাইরের পিৎজা, বার্গার বা মোমো দেখে আবার লোভ সামলানো কঠিন। তাই সচরাচর রোগা হওয়া আর হয়ে উঠছে না।রোগা হওয়ার তাগিদে আজকাল ডায়েটের বেশ চল হয়েছে।জিমে যাওয়া আর ডায়েট মেন্টেন করে রোগা হওয়াকেই এখন মূল মন্ত্র বলে মনে করছে বর্তমান জেনেরেশন।ডায়েট করার জন্য অনেক সময়েই খাবার স্কিপ করতেও পিছপা হচ্ছে না যুবসমাজ।কিন্তু তাতে ফল কি হচ্ছে? আদৌ রোগা চেহারা পাওয়া যাচ্ছে কি তাতে নাকি উল্টে নিজের সুস্থ শরীরকে এইভাবেই ব্যস্ত করে তুলছে আমাদের জেনেরেশন চলুন খোঁজ নেওয়া যাক। জেনে নেওয়া যাক, রোগা হওয়ার তাগিদে উপোস করার কি ফল পাচ্ছে তারা.............. 

ডায়েট করা নিয়ে অনেকের মনেই নানা ভুল ধারণা বাসা বেঁধে রয়েছে।ডায়েটের অর্থ অনেকের কাছেই অল্প খাওয়া কিংবা না খাওয়া অর্থাৎ উপোস করে থাকা।কিন্তু অনেকের মনেই এই ধারণা থাকে না যে উপোস করার ফলে শরীরের কি কি ক্ষতি সাধন হতে পারে।ডায়েটিশিয়ানদের মত, দীর্ঘদিন কম খাওয়া বা উপোস করার ফলে মেদ তো কমেই না বরং পেশির স্থূলতা কমে যেতে শুরু করে।চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অনেক্ষন না খেয়ে থাকলে বডির মেটাবলিজম রেট কমে যেতে শুরু করে।নানা সমীক্ষায় উঠে আসা ফলের হিসেবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি সারাদিনে ১২০০ ক্যালোরি কম খান তাহলেই তার মেটাবলিক রেটের অনেকটাই পরিবর্তন ঘটতে পারে।এর ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা কমে যায় কিন্তু মেদ একটুও কমে না।শরীরের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট করলেও তার আশানুরূপ ফল মিলবে না।শরীর দিনদিন দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করবে। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক, আলসার এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ এসে শরীরে বাসা বাঁধবে। পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করবে এবং তার সাথেই কমতে শুরু করবে ত্বকের জেল্লা

অতএব, উপোস করা নৈব নৈব চ। তাহলে উপায়? চিকিৎসকদের মতে, 'ডায়েট' কথার অর্থ না খেয়ে থাকা নয়। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান। খাদ্যতালিকা থেকে রোডসাইড জাঙ্কফুড বাদ দিয়ে ঘরের খাবার খাওয়া উচিৎ। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমানে কার্বোহাইড্রেট থেকে শুরু করে ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিনের ব্যালেন্স বজায় রাখা উচিৎ। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, স্লিম চেহারা পেতে গেলে প্রথমেই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে ডিপ ফ্রায়েড খাবার। এছাড়াও কোল্ড ড্রিঙ্কস, অত্যধিক জাঙ্কফুড শরীরের মেদ জমতে সাহায্য করে থাকে। তাই এইজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।স্লিম চেহারা পাওয়ার জন্য ব্রেকফাস্টে রাখুন অঙ্কুরিত ছোলা, মরশুমি ফলের স্যালাড প্রভৃতি রাখা উচ্চিৎ। এছাড়াও তারা জানিয়েছেন, ডায়েট চলাকালীন একেবারে বেশি পরিমানে খাওয়া উচিৎ নয়। বার বার খান কিন্তু অল্প পরিমানে খান।    

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...