ডায়াবেটিসে ডিমের ভূমিকা

শরীরে একবার মধুমেহ বাসা বাঁধলে তার থেকে সম্পূর্ণ নিস্তার পাওয়া বেশ কঠিন| রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জীবন থেকে বিদায় নেয় পছন্দের নানা খাবার| মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাওয়া প্রায় বন্ধই হয়ে যায়| এছাড়াও যেসব খাবারে শর্করার পরিমান বেশি থাকে সেইসব খাবারও এড়িয়ে চলতে বলা হয়| এর ফলে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়ার ইচ্ছেটাই অনেকসময় চলে যায়|

কিন্তু ধীরে ধীরে চিকিত্সা বিজ্ঞানে আসছে পরিবর্তন| চিকিত্সা পদ্ধতিতে আধুনিকীকরণের জন্য এখন মানুষের পাতে ফিরে আসছে তাদের পছন্দের খাবার| বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, সেদ্ধ ডিম সুগারের রোগীর জন্য খুবই ভালো| কারণ ডিমে থাকা নানা জৈব উপাদানগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিকারী উপাদানের সাথে লড়তে পারে|গবেষকদের এই দাবিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন পুষ্টিবিদরাও| তারা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ভিনিগারে ডোবানো ডিম সেদ্ধ খান তাহলে ডায়বেটিস আয়ত্তে থাকে| এর জন্য আগের দিন রাতে একটি কাঁচা ডিম ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন সকালে সেটিকে সেদ্ধ করে নিন| এর সাথে মিশিয়ে নিন অল্প করে দারচিনি কারণ শরীরে ইনস্যুলিনের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে দারচিনি|

অন্যদিকে, ঘিয়ের মধ্যে অত্যধিক ফ্যাট থাকার ফলে অনেকেই ঘিকে এড়িয়ে যান| ডায়াবেটিকরা ঘিকে এড়িয়ে চললেও গবেষণা বলছে, ডায়াবেটিকদের জন্য ঘিতে থাকা ফ্যাট আসলে উপকারী| ঘিতে উপস্থিত ফ্যাট যদি হেলদি ফ্যাট হয় তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে উপকারী বলে প্রমানিত হয়েছে|

তাই ডায়াবেটিস হয়েছে বলেই খাবার বন্ধ করে দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই| ডিম, ঘি পুষ্টিকর সমস্ত খাদ্যই খাওয়ায় এখন আর বাধা রইলো না| তাই মন খুলে খান আর সুস্থ্য থাকুন|

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...