মানবজীবনে রঙের প্রভাব অপরিসীম। এমনকি জোতিষশাস্ত্রেও মনে করা হয় এক একটি রং শুভ হয় এক একজনের জন্য। তাইজন্য কাউকে দেওয়া হয় নীল রঙের নীলা তো কাউকে দেওয়া হয় লাল রঙের পলা। আচ্ছা জ্যোতিষশাস্ত্রের কথা ছেড়ে দিলাম। আমরা যখনই কোনো রেস্তোরায় যাই দেখি সেই রেস্তোরার অভ্যন্তরে লাল ও কমলা রঙের প্রভাব একটু বেশি কারণ কথিত আছে লাল ও কমলা রং খিদে বাড়ানোর কাজে উপকারী ভূমিকা পালন করে। সেই জন্যই রাস্তার ধারের বিরিয়ানির দোকানের হাড়িতে জড়ানো থাকে লাল কাপড়। রঙের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে রোগ নিরাময়েও। যেমন নীল রং পেটের বিভিন্ন রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, সর্দি-কাশিতে বিশেষ সহায়ক লাল রং, অনিদ্রা ও হাঁপানির রোগীদের ক্ষেত্রে বেগুনি রঙের অবদান অনস্বীকার্য, ফুসফুসের সমস্যায় উপকারী কমলা রং। শতাব্দী প্রাচীন একধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি যাকে বলা হয় ক্রোমোথেরাপি, সেখানে রংকে ব্যবহার করা হত রোগ নিরাময়ের হাতিয়ার হিসাবে। ক্যান্সারের মত মারণ রোগ হোক বা সিসন্যাল অ্যাফেক্টিভ ডিসওর্ডার বা শীতকালিন মানষিক অবসাদ কাটাতে সাদা রঙের অবদান অতুলনীয়। তা সে নিওনেটাল জন্ডিস হোক বা রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, অত্যাধিক আগ্রাসন হোক বা হিংস্রতা, নীল রঙের সাহায্যে সবই নিরাময় করা যায় খুব সহজে। সবুজ রঙের দিকে অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকলে মন যেমন শান্ত হয় তেমনই কালো রঙের দিকে অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকলে বাড়ে অবসাদ। তাই রঙিন থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন।