Ecological Awareness: ৮০ বছরের পুরনো তেঁতুলগাছকে কেন্দ্র করে ‘গ্রেট ব্যাকইয়ার্ড বার্ড কাউন্ট’–র আয়োজন করল বাঘা যতীনের বিদ্যাসাগর কলোনি

৮০ বছরের পুরনো বিশালাকার তেঁতুলগাছকে কেন্দ্র করে ‘গ্রেট ব্যাকইয়ার্ড বার্ড কাউন্ট’-এ (জিবিবিসি) –র আয়োজন করল বাঘা যতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির এলাকা। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, এর ফলে সেই গাছ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে।

বিদ্যাসাগর কলোনির এই বিশাল তেঁতুলগাছটি লাগিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী পারুল মুখোপাধ্যায়। অনুশীলন সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পারুল। ১৯৩৫ সালে তিনি টিটাগড় বোমা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার হন। এরপর কয়েকবছর জেল খেটে ১৯৩৯ সালে মুক্তি পান। এরপর তিনি বিদ্যাসাগর কলোনিতে থাকতে শুরু করেন। এলাকাবাসী তাঁকে ‘পারুলপিসি’ নামে চিনত। তিনিই নিজের বাড়ির উঠোনে এই তেঁতুলগাছটি রোপন করেন।

কিন্তু ১৯৯০ সালে তিনি মারা গেলে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি প্রোমোটারের কাছে বিক্রি করে দেন তাঁর পরিবার। এরপর থেকেই সেই বাড়ির উঠোনের তেঁতুলগাছটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এলাকায় দোলাচল শুরু হয়।

প্রায় ৮০ বছরের পুরনো এই গাছ বহু পাখি ও পোকামাকড়ের বাসস্থান। কিছু বছর আগেও ওই তেঁতুলগাছে নীলচুটকি, কমলা দামা, দুধরাজ, হাঁড়িচাচা, ডাহুক, নিশিবকের মতো অচেনা পাখিরা এসে বসত। কিন্তু বর্তমানে সেই গাছে এইসব পাখিদের দেখা পাওয়া দুষ্কর। তাই এই গাছকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে একদল প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। তেঁতুলগাছ বাঁচাতে তার নীচে ‘তেঁতুলতলার গান’ বা ‘তেঁতুল-টক’ শুরু কররা হয়েছে। গাছটিকে ঘিরে সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের আনাগোনাও বেড়েছে।

তবে এখনও প্রমোটারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে গাছটির ভবিষ্যৎ। সেই কারণেই এবার তেঁতুলতলায় পাখি গণনা করবেন পক্ষীপ্রেমীরা। ‘বার্ড ওয়াচার্স সোসাইটি’ –র মূল কথা হল, বাড়ির আশপাশে থাকা পাখিদের গণনা। ওই তেঁতুলগাছে আসা পাখিদের গণনা করতে ১৬ তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। তবে আসন সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছে, কারণ বেশি ভিড় হলে পাখিরা গাছে আসবে না। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...