শ্যামবাজার যাবেন বলে দুই জন যাত্রী অপেক্ষা করছিলেন কলামন্দিরের সামনে। ২২৭ রুটের বেসরকারি বাস এবং সম্প্রতি চালু হওয়া ইবি১ রুটের ইলেকট্রিক বাস এল। নীল রংয়ের ঝকঝকে চমকের শব্দহীন ইলেকট্রিক বাস দেখে উৎসাহ নিয়েই তারা উঠে পড়লেন নতুন বাসটিতে। সম্প্রতি রাজ্যের গণ পরিবহন ব্যবস্থায় নতুন পরিষেবা যোগ করতে বৈদ্যুতিক বাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দূষণ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে পরিবেশ বান্ধব বাস পরিষেবার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। কয়েক মাসে আগেই ডিজেল চালিত বাসের জায়গায় ৮০ টি বিদ্যুৎ চালিত বাসের ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তাদের এই পরিকল্পনা শহরবাসীর কাছে স্বস্তির সাড়া ফেলেছে ইতিমধ্যেই। বিদ্যুৎ চালিত বাসে প্রথমবারের মত আরোহন করছেন এমন একজন জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ চালিত বাসটি অন্যান্য বাসের তুলনায় মসৃন ভাবে চলছে। এটাই প্রথম চড়ে লক্ষণীয় বিষয় নজরে এসেছে। কিন্তু সব থেকে বড় বিষয় হল এই বাস দূষণ ছড়াচ্ছে না। অর্থাৎ আরোহী এই বাসে চড়ে দূষণের ভাগিদার হচ্ছেন না, আর এই বিষয়টিই বড় স্বস্তির কারন তার কাছে।
বৈদ্যুতিক বাস চালু হওয়ার পর এই বাসে চড়বার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে রোজকার অফিস যাত্রীদের ভিতর। এমন একজন অফিস ফেরত যাত্রী এক্সাইড মোড় থেকে ইবি১ আসছে দেখেতে পেলেন। অটোমেটিক দরজা খুলে যেতেই সাগ্রহে উঠে পড়লেন বৈদ্যুতিক নতুন বাসে। এই বাসে চড়ার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশী রাস্তায় এমন বৈদ্যুতিক বাস চলে। কলকাতার রাস্তায় এমন বাস চলবে সেটা ভীষণ আনন্দের। সমসাময়িক কালে যেভাবে দূষণ বেড়েছে তাতে এমন পরিবেশ বান্ধব যানবাহন কলকাতার রাস্তায় নামিয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি আরো জানালেন, নাগরিক হিসেবে তার মত অনেকেই চান যেন শহরের সব বাস পরিষেবা অতি শীঘ্রই ইলেকট্রিক বাস পরিষেবায় রূপান্তরিত করে দেওয়া হয়। টিটাগড় থেকে আসা এমন দুই জন আরোহী জানালেন তারাও চান বৈদ্যুতিক বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হোক। ডিজেল চালিত বাস থেকে এই বাসের চলাচল অনেক মসৃন। তাছাড়া এই বাস শব্দহীন।
শহরের যে কোন নতুন পরিষেবা শহরবাসীর কাছে সহজেই গ্রহণযোগ্য। তবে ডিজেলবিহীন পরিবেশ বান্ধব বাস সেবা আরও হৃদয় জয় করে নিয়েছে। যাত্রীদের মুখে এই বাসের জয়গানের কারণ একটাই দূষণহীন- পরিবেশ সহায়ক পরিবহন ব্যবস্থা।