সমর্থকদের তরফ থেকে নানা আর্জি ছিল, দলের মূল খেলোয়াড়দের যেন ডার্বির আগে বিশ্রাম দেওয়া হয়। কিন্তু সকলের চিন্তাভাবনা যেখানে শেষ হয়, আলেজান্দ্রো মেনেন্দেস-এর ভাবনা সেখানেই শুরু হয়। আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষার রাস্তায় গিয়ে মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে এরিয়ানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে আনলেন আলেজান্দ্রো।
প্রথমার্ধে একপ্রকার ধীরগতির খেলা চলছিল, যদিও বল দখলের লড়াইতে অনেকটাই এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আর গ্যালারি থেকে মূলত মহিলাদের নেতৃত্বে লাল-হলুদ সমর্থকরা আওয়াজ তুলছিলেন দলের প্রতি, যা ভারতীয় ময়দানে বিরল বলাই চলে। বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল সুযোগ পেলেও এরিয়ান গোলকিপার কাদির এর সুবাদে গোলশূন্যই থেকে যায়। কিন্তু ৪২ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ব্র্যান্ডন, বৈথাং হাওকিপ ও সামাদ আলি মল্লিক এর মধ্যে পাস আদানপ্রদানের পর হঠাতই ব্র্যান্ডনের পাসে বল পেয়ে গোল করেন লালরিনডিকা রালতে।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে পুরোপুরি চলে ‘দ্য কোলাডো শো’। ৬১ মিনিটে বিদ্যাসাগর সিং এর পাসে গোল করতে ভুল করেননি তরুণ এই স্প্যানিশ মিডিও। আর ৮৯ মিনিটে আবারও গোল করেন হাইমে কোলাডো। তবে বিশেষ নজর কাড়েন পরিবর্ত হিসেবে নামা তরুণ স্ট্রাইকার রোনাল্ডো অলিভিয়েরা। এছাড়া গোল করার প্রচুর সুযোগ হাতছাড়া করেন বিদ্যাসাগর। কিন্তু সবমিলিয়ে ডার্বির আগে দুর্ধর্ষ জয় লাল-হলুদ বাহিনীর।
যদিও জয়ী দলের সদস্যদের সাধারণত ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে, কিন্তু এরিয়ানকে বড়সড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচায় গোলকিপার কাদির এর অসংখ্য দুর্দান্ত কিছু সেভ। আর সেই কারণে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় কাদির এর হাতে।