ইস্টবেঙ্গল – ৬ (হাইমে স্যান্টোস কোলাডো – ২ (পেনাল্টি), পিন্টু মাহাতো, বিদ্যাসাগর সিং – ২, বৈথাং হাওকিপ)
জামশেদপুর এফসি – ০
প্রথম ম্যাচে আর্মি রেড এর বিরুদ্ধে জয় হাসিল করার পরে কোচ আলেজান্দ্রো এর মাথায় ছিল একটাই কথা, যাতে ইস্টবেঙ্গল এর ভারী মাঠে খেলোয়াড়রা চোট না পায়| কিন্তু এদিন ডুরান্ড কাপ এর দ্বিতীয় ম্যাচে জামশেদপুর এফসি এর বিরুদ্ধে যে রকমারি ফুটবল খেলল ইস্টবেঙ্গল, তাতে বোঝাই যায়নি যে টিমে পজিটিভ স্ট্রাইকার এর অভাব রয়েছে|
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের ৩ মিনিটেই পেনাল্টি পায় তারা| কাশিমের পাসে কোলাডো এগিয়ে গেলে তাকে বক্সে ফাউল করে বসেন জামশেদপুরের গোলকিপার অমৃত গোপে| পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি স্প্যানিশ এই মিডিও| ঠিক ৪ মিনিট বাদেই আবারও গোল করে ম্যাচের অভিমুখ নিজেদের দিকে করেন কোলাডো| ৩৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন নতুন সাইনিং পিন্টু মাহাতো| আক্রমণ কেবল একদিক থেকেই হচ্ছিল তা বলাই বাহুল্য| জামশেদপুরের এই দলটি একেবারে আনকোরা ছিল তা তাদের খেলাতেই স্পষ্ট ছিল|
দ্বিতীয়ার্ধে আবারও সেই একই খেলার প্রদর্শন দেখিয়েছে আলেজান্দ্রো এর তরুণ ব্রিগেড| একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিল জামশেদপুর এর তরুণ ডিফেন্ডাররা| ৭৪ ও ৮২ মিনিটে জোড়া গোল করে দলকে বিরাট ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করেন তরুণ স্ট্রাইকার বিদ্যাসাগর সিং| আর ম্যাচের অন্তিম পর্যায়ে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রথম গোল করলেন বৈথাং হাওকিপ| আইএসএল এর দল জামশেদপুর এর এই দলকে একপ্রকার রিজার্ভ দলই বলা চলে| ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন পিন্টু মাহাতো| এরপর ৯ আগস্ট জর্জ টেলিগ্রাফ এর বিরুদ্ধে কলকাতা লিগ এর লড়াইয়ে নামবে ইস্টবেঙ্গল|