সালটা ১৯২০, মোহনবাগান বনাম জোড়াবাগান ম্যাচ। প্রথম একাদশ কে মাঠে নামতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল জোড়াবাগানের সহ-সভাপতি সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী। তার কারণ দলে নেই ডিফেন্ডার শৈলেশ বসু। দলের কোচেদের কাছে প্রথম একাদশে তাঁকে রাখার আর্জি জানালেও তা নাকোচ করে দেয় কোচেরা। শৈলেশ বসুর বিরুদ্ধে এই অনাচার সহ্য করতে না পেরে ২৮শে জুলাই দল ছাড়েন সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী, রাজা মন্মথ নাথ চৌধুরী, রমেশ চন্দ্র সেন ও অরবিন্দ ঘোষ। তার ঠিক ৪দিন পর পয়লা আগস্ট ২৯২০ সালে সৃষ্টি হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। শুরু হল লাল হলুদ ব্রিগেডের পথচলা। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে এক শত বছর, কিন্তু আজও লেসলি ক্লডিয়াস স্ট্রিটের এই ক্লাব তার পুরোণো জৌলুস হারায় নি। আজও ক্লাব তাঁবুতে বিদ্যমান ১৯৫১ সালের ডুরান্ড জয়, ১৯৭০ সালে আইএফএ শিল্ড আর ২০০৩ সালে ঐতিহাসিক আশিয়ান কাপ জয়ের ট্রফি। মশাল বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে, বৃহস্পতিবার ক্লাব তাঁবুতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রদীপ জ্বালিয়ে আরও এক শত বছর কলকাতার ময়দানে টিকে থাকার অঙ্গিকারবদ্ধ হন ক্লাব সদস্যরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন লাল-হলুদ খেলোয়াড় বাইচুং ভুটিয়া, আলভিটো ডিকুনহা ও ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ সুভাষ ভৌমিক। কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শতবর্ষ অনুষ্ঠানের সাক্ষি থাকতে ভিড় করে বহু লাল হলুদ সমর্থক। হবে না-ই বা কেন, হাজার হোক ইস্টবেঙ্গল বলে কথা।