রবিবাসরীয় সন্ধ্যেতে যুবভারতীর রঙ ছিল লাল-হলুদ। আইলিগের দ্বিতীয় ডার্বিতেও জয় হল ইস্টবেঙ্গলের। প্রথমার্ধের শুরু থেকে মাঠ জুড়ে মোহনবাগানের দাপট থাকলেও শেষ রক্ষা করে উঠতে পারেনি বাগান শিবির। ইস্টবেঙ্গলের ঘেরা চক্রব্যূহে যেন স্বেচ্ছায় প্রবেশ করে মোহনবাগান। তারপর ম্যাচ থাকে সম্পূর্ণ লাল-হলুদের দিকেই। ম্যাচের বয়স তখন ৩৪ মিনিট। মোহনবাগানের ডিফেন্সের ভুলে সনি নর্ডি পাস দিয়ে দেয় কোলাদো কে। কোলাদো গোল করার সুযোগ নষ্ট করে নি। প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ নষ্ট করে ১-০ গোলেই দ্বিতীয়ার্ধে শুরু করতে হয় দুই প্রতিপক্ষকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচ ছিল সম্পূর্ণ লাল-হলুদ শিবিরের দখলে। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে বাগান শিবির ক্ষুধার্থ হিংস্র সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লেও বড্ড ছন্নছাড়া ভাব ছিল দলের মধ্যে। সনি নর্ডির জায়গায় ডার্বির নায়ক হলেন জবি জাস্টিন। কোচ বদলাল বাগানের। কিন্তু নিজের স্ট্র্যাটেজি বদলে ডার্বি জয়ের মুকুট এনে দিতে পারলেন না কোচ খালিদ জামিল। সেই দিক থেকে অনেক বেশি সংশ্লিষ্ট লাগল ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেসান্দ্রকে। ম্যাচ চলা কালীন-ই গুঞ্জন শুরু হল এমনি এমনি লাল-হলুদ তিন দিন বন্ধ দরজার আড়ালে অনুশীলন করেন নি। ওই তিন দিনেই ফুটবলারদের মনঃসংযোগ করিয়েছেন তিনি। আর তার প্রতিচ্ছবি দেখা গেল মাঠের মধ্যে। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে কফিনের শেষ পেরেকটি মারেন জবি জাস্টিন। ততক্ষনে গ্যালারি জুড়ে জয়ের উল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। লাল হলুদ আবিরে মাঠের রঙ বদলেছে। সঙ্গে হাজারো মোবাইল টর্চ জ্বলে উঠে ফুটবলারদের অভিনন্দন জানাতে শুরু করে দিয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। অন্যদিকে সবুজ-মেরুন গ্যালারি ক্রমশ ফাঁকা হতে শুরু করেছে ম্যাচের ৮০ মিনিটেই। গনগনিয়ে জ্বলছে মশাল। ম্যাচের সেরা জবি জাস্টিন।
১৩ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে জয়ের সরণিতে থাকতে পেরে আপ্লুত ইস্টবেঙ্গল থিঙ্ক ট্যাংক আলেসান্দ্রো। লিগ কারা জিতবে তা বলা এখন ই সম্ভব নয়। কারন লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানেই রইল টিম আলেসান্দ্রো। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি মরসুমে অনেক বেশি ছন্দে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। শেষ-মেষ ডার্বি জয়-ই যেন আলাদা ট্রফি যেটা, সেকথা বলা যেতেই পারে রাতের শেষে সমর্থকদের উল্লাসে বাড়ি ফেরা দেখে।