মানুষের সৌন্দর্যের বেশিরভাগ ঢাকা পড়ে যায় তখনই যখন শরীরের নানা জায়গায় রোমের আবির্ভাব হয়। পছন্দ মত পোশাক পরা থেকেও সেই সময় বিরত থাকতে হয়| এর থেকে পরিত্রাণ না মেলা পর্যন্ত শান্তি আসে না| সেই জন্য বেশিরভাগ মহিলাই পার্লারে গিয়ে মুখমন্ডল থেকে শুরু করে ঘাড়, হাত পা সব জায়গার ওয়াক্সিং-এর জন্য অনেক পয়সা খরচ করে আসেন। কিন্তু সারা সপ্তাহ কাজের চাপের পর আসে উইক এন্ড অর্থাৎ রবিবার। আর সেইদিন তো কাজের কোনো শেষই থাকে না। তাহলে পার্লারে যাবেন কখন? বা ধরুন আপনি স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে সবে কলেজের পথে পা বাড়িয়েছেন। পকেটমানি ছাড়া সাথে কিছুই নেই। এমন সময়ে পার্লারে গিয়ে ওয়াক্স করানো একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সেই ক্ষেত্রে উপায় কি? হ্যাঁ, বাজারে হেয়ার রিমুভিং প্রোডাক্ট প্রচুর পাওয়া যায় আপনি চাইলে সেগুলি ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু তার থেকেও ভালো সেরকমই একটি ঘরোয়া পদ্ধতির কথা আজ আমরা জানবো।
সবচেয়ে সহজ একটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা যাক। এর জন্য প্রথমেই যে সামগ্রী আপনার লাগবে তা হলো চিনি, জল, লেবুর রস মধু, এসেন্সিয়াল তেল এবং একটি মোটা কাপড়। প্রথমে তিন কাপ চিনি, হাফ কাপ জল দিয়ে গরম করুন। যতক্ষণ না চিনি সম্পূর্ণ গলে যাচ্ছে একটি চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনি গলে যাওয়ার পর এতে লেবুর রস, এসেন্সিয়াল অয়েল ও মধু মিশিয়ে দিন। সম্পূর্ণ মিশ্রণটি উনুন থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। পুরো ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি আইসক্রিমের কাঠি বা এইজাতীয় কোনো কাঠি দিয়ে লোমপূর্ণ জায়গার উপর লাগিয়ে দিন। তার উপর মোটা একটি কাপড় বসিয়ে আলতো করে ঘষে লোমের বৃদ্ধির উল্টো দিকে হ্যাঁচকা টান দিন।আপনি যদি ওয়াক্সিং করতে অভ্যস্থ হন তাহলে এইটুকু টানে আপনার অত বেশি ব্যাথা অনুভব হবে না। কিন্তু আপনি যদি প্রথমবার ওয়াক্সিং করে থাকেন তাহলে কিছুক্ষনের জন্য সেই জায়গায় হালকা জ্বালার অনুভূতি টের পাবেন। ওয়াক্সিং করার পর সেই জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নেবেন। তাহলে সেই স্থানে কোনোরকম ফুসকুড়ি বা ত্বকের অন্য কোনো সমস্যা হবে না।