শুক্রবার বিকেল! তখনও শহরবাসী পুরোপুরিভাবে রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। মানুষের মনে তখনও যেন কোথাও রয়ে গেছে রং খেলার স্ফুর্তি বা আনন্দ। আর এই আমেজ কাটতে না কাটতেই কালবৈশাখীর দাপটে জেরবার হয়ে পড়ল গোটা শহরবাসী। ভোগান্তিতে পড়ল সারা শহরবাসী। শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়াটা ছিল কিন্তু একটু অন্যরকম।গরমের জ্বালায় মানুষের অবস্থা হয়ে উঠেছিল নাজেহাল হওয়ার মতো। কিন্তু সেই আবহাওয়া বদলে গেল বিকেলের পর থেকে। কিছুটা হলেও স্বস্তি পায় শহরবাসী। কালবৈশাখীর এরকম তান্ডবের ফলে এদিন বিকেলের পর থেকে যান চলাচলেও বাঘ্যাত ঘটে। অফিস ফেরত বহু যাত্রীদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শহর কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী বহু এলাকার ঘরবাড়ীর নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া গাছ ভেঙে পড়াতে বহু জায়গার ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কালবৈশাখীর আচমকা এই তান্ডবের জন্য শিয়ালদহ মেন্ শাখার এবং হাওড়া শাখার বিভিন্ন ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। এছাড়া বেলঘড়িয়ায় ওভারহেডের তারে লাইনের পাশে গাছ উপড়ে পড়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচলে নানা ব্যাঘাত ঘটে। ফলে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়। এদিন সরকারিভাবে ছুটি থাকার কারণে ট্রেন ও মেট্রো সংখ্যাও অন্য দিনের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম ছিল। আর তার মধ্যে বিকেলের পর থেকে এইরকম জেরবার করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি। ফলে ভিড় বাড়ে মেট্রো স্টেশনগুলিতে। নাকানিচোবানি অবস্থা হয় যাত্রীদের।
সূত্রের খবর, এদিন ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবে গোটা নবান্ন চত্বর জলে ভরে যায়। মহাকরণ ও ময়দান সহ শহরের একাধিক জায়গার গাছ ভেঙে পড়ে। আরও জানা গেছে, এদিন অন্যান্য পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিলেও বিমান পরিষেবার তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। সেরকমভাবে নাকাল হতে হয়নি বিমান যাত্রীদের। গতকাল ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬৮ কিলোমিটার এরকমটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।