মার্ভেল কমিকসের আইকন স্ট্যান লি- এর নামে নিউ ইয়র্কে একটি রাস্তার নাম রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে সম্প্রতি এ বিষয়ে ভোটাভুটিও হয়। নিউইয়র্ক সিটির ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ- এর নাম স্ট্যান লি ওয়ে করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। লি’র স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই রাস্তার সঙ্গে।
নিজে অনেক চরিত্রের জন্ম দিলেও কমিকের দুনিয়ায় ইনি নিজেই ছিলেন ‘হিরো’। পুরো নাম স্ট্যানলি মার্টিন লাইবার। ব্রুস লি’র অন্ধ ভক্ত। ব্রুস লির মতোই বদলে নিয়েছিলেন নিজের নাম।
উৎখাত হওয়া ইহুদী পরিবার। ছোটবেলা থেকেই পড়তে হয়েছিল চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মনের গোপনে বেড়ে উঠেছিল কল্পনার ইচ্ছেডানা। সমস্ত অসহায়তা থেকে বাঁচাতে কেউ এক জন আসবে। শক্তিশালী লড়াকু মানুষ। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা যে করতে জানে।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে কমিকস লেখা শুরু করেন। সেই দিয়েই প্রথম চাকরি। ১৯৪১ সাল নাগাদ একটি পাবলিকেশন হাউসে। এক বছরের মাথায় সেই কোম্পানির শীর্ষে।
সেই প্রতিষ্ঠানই পরে ‘মার্ভেল কমিকস’–এ নাম বদলে যায়।
প্রায় শতাধিক কমিক চরিত্রের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে তিনি কমিকস দুনিয়াকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফিরে আসেন স্ত্রী জোয়ানের কথায়।
১৯৬১ সালে লি এবং শিল্পী জ্যাক কারবি দুজন মিলে ফ্যান্টাসটিক ফোর তৈরি করেন।
টিন এজ বা বয়সন্ধির ছেলেমেয়েদের অনেক সমস্যা, বৈশিষ্ট লি তাঁর কমিকস চরিত্রদের মধ্যেও এনেছিলেন। ‘ব্ল্যাক প্যান্থর’-এর গায়ের রং কালো। ব্ল্যাক প্যান্থর পৃথিবীর প্রথম কালো কমিক সুপার হিরো।
১৯৭১ সালে কমিক দুনিয়া থেকে অবসর গ্রহণ করার পর তিনি এন্টারটেইনমেন্ট জগতে পা রাখেন। কমিকস চরিত্রগুলোকে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে আনার কাজ শুরু করেন।
২০১৬ সালে আবার নতুন ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। এবার গ্রাফিক নভেল।
নিজের কাজের সঙ্গে কখনও আপোস করেন নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে নিয়েছিলেন সৃষ্টিশীল থাকার মাধ্যমগুলোকেও।
তাঁর সুপারহিরোরা সাধারণের মতোই। দৈনন্দিন নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে জীবনের পথ চলে। তারপর হঠাৎ একদিন নিজেকে আবিষ্কার করে তারা। হয়ে ওঠে অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী।