একাদশীব্রত বলতে বেশিরভাগ সময় মানুষ বৈষ্ণবের একাদশী ব্রতকেই বোঝেন কিন্তু আসলে দেবাদিদেব মহাদেব ভগবান শিবের উদ্দেশ্যেও একাদশী তিথিতে শৈবরা একাদশী ব্রত পালন করে থাকেন। তবে বর্তমানে শৈবদের পালন করা একাদশী ব্রতটি অপ্রচলিত হয়ে যাওয়ায় একাদশী বলতে মানুষ বৈষ্ণবদের অনুষ্ঠিত একাদশী ব্রতকেই বুঝে থাকেন। তবে IISGT (International Shiva Shakti Gyan tirtha) শৈব সংস্কৃতিকে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য শৈব একাদশী ব্রত বিধি সংগ্রহ করেন ও সেই নিয়ে প্রচার করেন। IISGTর সেই লেখাতে একাদশী ব্রত বিধি সম্পর্কে বিশেষ উল্লেখ আছে, সেই কথায় আজ আপনাদের বলব।
পুরাণে শৈব একাদশীর উল্লেখ -
শিব পুরাণের কোটি রুদ্র সংহিতার ৩৭ নং অধ্যায়ের দশটি শৈব ব্রতের মধ্যে একাদশী তিথিতে পরমেশ্বর শিবের আরাধনার কথা বলা হয়েছে, এছাড়া শ্রী সিদ্ধি তার অন্তর্গত ভক্তিযোগ নামের ১৫ অধ্যায় একাদশী ব্রত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও শিখ ধর্ম পুরাণে একাদশীকৃতিতে পরমেশ্বর শিবের ভজনা করার উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে বৈষ্ণবদের মতো শৈবরাও একাদশী তিথি পালন করেন শৈব মতে।
শৈব একাদশী ব্রত পালনের ফল-
শৈব একাদশী ব্রত পালন করার ফল অত্যন্ত শুভ ফল দায়ক। এই ব্রত পালন করলে ধর্ম, অর্থ, কাম , মোক্ষ চতুর্বর্গ ফল প্রাপ্তি হয়। এই ব্রত পালন করলে একজন ব্যক্তির দেহ ও মন শুদ্ধ হয়। একাদশ রুদ্রের কৃপা লাভ করা যায় অতি সহজেই। এই ব্রত সমস্ত পাপ বিনাশ করে এবং ধন, যশ ও সমস্ত মনস্কামনা পূরণ করে। একই সাথে এই ব্রত পালনকারী ব্যক্তির আয়ু বৃদ্ধি পায় ও অন্তিমে সে শিব লোক প্রাপ্ত হয়। তাই একজন শিব ভক্তের অতি অবশ্যই উচিত শৈব একাদশী পালন করা।
শৈব একাদশী ব্রত পালনের নিয়ম অনেকেই জানেন না। এ ক্ষেত্রে একাদশী তিথির দিন সারা দিন উপবাস করতে হয়। শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিতে সম্পূর্ণভাবে উপবাস করতে হবে এবং এই তিথিতে কোনও রকম আহার গ্রহণ করা যাবে না। তবে, কৃষ্ণ পক্ষের একাদশীতে সারাদিন উপবাস থেকে সন্ধ্যা কালে পুজো সম্পন্ন করতে হবে এবং পুজো সম্পন্ন করবার পর খাওয়া যাবে কিন্তু শুক্ল পক্ষের একাদশীতে সম্পূর্ণ ভাবে খাদ্য গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। তবে যদি পুরো একদিন সম্পূর্ণ উপবাস থাকা অসম্ভব হয় কারো পক্ষে, সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি ফল, দুধ , দই প্রভৃতি গ্রহণ করতেই পারে কিন্তু ধান, গম, যব, সরিষা অর্থাৎ পঞ্চ শস্য জাতীয় কোন খাদ্য সে গ্রহণ করতে পারবে না এবং তারপর সমস্ত রাত্রি তাকে জাগরণ করে, শিব মন্ত্র জপ করতে হবে। নিষ্ঠাবান হয়ে একাদশী পালন করবার পর দ্বাদশীর দিন অর্থাৎ একাদশীর পরবর্তী দিনে পারণ করে সেই ব্যক্তি নিত্য দিনের মতোই খাদ্য গ্রহণ করতে পারবে। শৈব মতে একাদশী যেহেতু সেই কারণে একাদশীর সারা দিন পরমেশ্বর শিবের ও ১১ জন রুদ্রকে স্মরণ করতে হবে এইদিন।
এই দিন কোনোরকম মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না এবং কোন প্রাণীকে নির্যাতন করা যাবে না এবং স্ত্রীজাতির প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের দৃষ্টি রাখতে হবে।
এছাড়া শিব লিঙ্গে পরমেশ্বর শিবের ১১ জন রুদ্র অর্থাৎ একাদশ রুদ্রকে আরাধনা করতে হবে।
শৈব একাদশী ব্রত পালনের সময় পরমেশ্বর শিবকে পরমব্রহ্ম ও পরমাত্মা রূপে জ্ঞান করে আরাধনা করলে ব্রতের ফল সম্পূর্ণরূপে পাবেন।
পুজোর উপকরণ
১। শৈব একাদশী ব্রত পালন করবার জন্য একটি শিবলিঙ্গ অথবা শিব মূর্তি লাগবে যদি এই দুটোর কোনোটিই না থাকে, তাহলে শিব চিত্রও পূজা করতে পারেন।
২। শিবলিঙ্গ বা চিত্রকে অভিষেক করাতে হবে যার জন্য গঙ্গার জল লাগবে।
৩। অন্তত ১১ টি বা ১৫ টি গোটা ফুল লাগবে।
৪। দেবাদিদেবের উদ্দেশ্যে সাধ্য মত মিষ্টান্ন ও পাকা ফল দিন।
৫। অন্তত ১৫ টি অথবা একটি বেলপাতা নিবেদষ করুন দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশ্যে।
৬। চন্দন বা ভস্ম দুটোর একটি হলেই চলবে।
৭। ধূপ
৮। দীপ
৯। ভগবান শিবের জন্য পানীয় জল
১০। দূর্বা
১১।আতপ চাল
ব্রতের শুভারম্ভ-
১। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত জোড় করে শিব গৌরীর নাম স্মরণ করুন,তার সাথে এই মন্ত্রটি পাঠ করুন-
"কপূর গৌরং করুণাবতারং সংসার সারম্
ভুজগেন্দ্রহারম্।
সদা বসন্তং হৃদয়ারবিন্দে ভবং ভবানী সহিতম্ নমামি।।"
২। এরপর স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে ত্রিপুন্ড্র রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
৩। এইবার ব্রতের সংকল্প করুন।
ব্রত সংকল্প করবার জন্য বলুন- দেবাদিদেব মহাদেব হে নীলকন্ঠ আপনাকে নমস্কার করি। হে দেব পরমেশ্বর! আমি আপনার একাদশী ব্রতের অনুষ্ঠান করতে চাই। হে মহেশ্বর প্রভু শিব! আপনার প্রভাবে এই ব্রত যেন সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয় এবং কামাদি শত্রু যেন আমাকে পীড়া প্রদান না করে।
৪। সন্ধ্যাবেলায় মূল পুজো শুরু করবার সময় পুজোস্থানে কিছুটা গঙ্গাজল হাতে নিয়ে ওম নমঃ শিবায় বলে ছিটিয়ে দিন ও তারপর বৈদিক মন্ত্রে শিব স্মরণ করুন এবং করজোরে শৈব আগমোক্ত শুচি মন্ত্র পাঠ করে বলুন-" ওঁম অপবিত্র পবিত্র বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা। যঃ স্মরেৎ বৈ বিরুপাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।ওঁম নমঃ শিবায়।।"
৫। ভগবান গণেশকে স্মরণ করুন ও নিজ গুরুদেবকে স্মরণ করুন এরপর দীপ,ধূপ জেলে নিন। সম্ভবপর হলে আপনি ঘিয়ের দীপও জ্বালাতে পারেন। এরপর নিজে সাধ্য অনুযায়ী পাকা ফল ও মিষ্টান্ন প্রসাদ হিসেবে মহাদেবেরর উদ্দেশ্যে নিবেদন করে 'ওঁম শিবার্পণমস্ত' মন্ত্র উচ্চারণ করুন।
৬। এবার শিবলিঙ্গে, গঙ্গাজল দ্বারা অভিষেক করে মৃত্যুঞ্জয় মহামন্ত্র পাঠ করুন। এইক্ষেত্রে যদি শিবলিঙ্গ হাতের কাছে না থাকে, তাহলে বেল পাতা জলে ভিজিয়ে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করে ওম নমঃ শিবায় বলতে বলতে ছবির উপর সামান্য ছিটিয়ে দেবেন।
৭। এরপর আলাদা আলাদাভাবে একাদশ রুদ্রের উদ্দেশ্যে মন্ত্র পাঠ করে শিবলিঙ্গে একটু একটু করে জল প্রদান করুন।
ওম কপালায় নমঃ,ওম পিঙ্গলায় নমঃ,ওম ভীমায় নমঃ,
ওম বিরূপাক্ষায় নমঃ,ওম বিলোহিতায় নমঃ,ওম শাস্তায় নমঃ,ওম অজ পাদায় নমঃ,ওম অর্হির্বুধ্নায় নমঃ,ওম শম্ভবে নমঃ,ওম চণ্ডায় নমঃ,ওম ভবায় নমঃ- একাদশ রুদ্রের এই সকল মন্ত্রে একটু একটু করে জল প্রদান করুন।
৮। অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য হাতে দুর্বা, চন্দন, বেলপাতা , আতপ চাল নিয়ে মন্ত্রের সাহায্যে শিবলিঙ্গে প্রদান করুন। মন্ত্রটি হবে- রূপং দেহি যশো দেহি ভোগং দেহি চ শঙ্কর। ভুক্তিমুক্তিফলং দেহি গৃহীত্বার্ঘ্যং নমোহস্তু তে।।
৯। একটি করে চন্দনযুক্ত বেলপাতা ও ফুল নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে ১১ বার একাদশ অর্থাৎ ১১ জন রুদ্র গনের উদ্দেশ্যে মন্ত্র পাঠ করে শিবলিঙ্গে প্রদান করুন। এই ক্ষেত্রে যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত ফুল না থাকে তবে একবারই ফুল বেল পাতা দিন এবং শিবলিঙ্গে ওম একাদশ রুদ্রায় নম মন্ত্রঃ পাঠ করে শিবলিঙ্গে প্রদান করুন।
১০। বেলপাতা সহ ফুল দিয়ে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করুন ও ১০৮ বার ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করে দীপ ধুপ দিয়ে আরতি করুন।
১১। মহাদেবকে চন্দন নিবেদন করুন ও দাঁড়িয়ে ঘন্টা বাজিয়ে কর্পূর জ্বালিয়ে আরতি করুন এবং হাতজোড় করে শিব প্রণাম মন্ত্র পাঠ করে শিবকে প্রণাম করুন-
ওম নমঃ শিবায় শান্তায় কারুণত্রয় হে তবে
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বরঃ
১২। এবার প্রভু শিবের কাছে শিব ভক্তি প্রার্থনা করুন এই মন্ত্র বলে- "শিবে ভক্তি শিবে ভক্তি শিবে ভক্তির্ভবে ভবে।
অন্যথা শরণং নাস্তি ত্বমেব শরণং মম।।"
বাংলায় এর অর্থ হল- হে প্রভু সদাশিব প্রত্যেক জন্মে আমার শিবে ভক্তি হোক, শিবে ভক্তি হোক এবং শিবে ভক্তি হোক। শিব ব্যতীত অন্য কেউ আমাকে শরণ দেবার নেই। হে পার্বতী পতি আপনি আমার একমাত্র শরণদাতা। এরপর নিষ্ঠা সহকারে শৈব একাদশী ব্রত কথা পাঠ করুন।
১৩।শৈব একাদশী ব্রতকথা
একবার একজন সর্বস্বহারা গরীব বৃদ্ধ শিব ভক্ত ব্রাহ্মণ পরম পবিত্র কাশিতে গিয়েছিলেন বিশ্বনাথ দর্শনের জন্য, কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন আর প্রচুর মানুষে মন্দির চত্বর ভিড় হয়ে থাকায় তিনি তিন দিন ধরে চেষ্টা করেও বিশ্বেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গকে দর্শন করতে পারেন না। তৃতীয় দিনের দিন ও তিনি বিশ্বেশ্বর শিবকে দর্শন করতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অঝোরে কাঁদতে লাগলেন।
দৈববশত সেই দিন বৃদ্ধ ক্ষুধার্ত ছিলেন এবং সেই স্থানের মাটির নীচেই ছিল একটি শিব লিঙ্গ, যার মধ্যে একাদশ রুদ্র লিঙ্গ বর্তমান ছিল। ঐ বৃদ্ধের অশ্রু নীচের দিকে মাটিতে ঝরে পড়তে লাগলো, সেই সময় সন্ধ্যে কাল উপস্থিত হলো এবং বৃদ্ধের পরম সৌভাগ্যবশত সেই মুহূর্তে ছিল একাদশী তিথি।
বৃদ্ধ খুবই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আবেগের সঙ্গে একাদশ রুদ্রের নাম বলে কাঁদতে লাগলেন ও তিনি রুদ্র গণদের নাম ধরে ডেকে বলতে লাগলেন," হে বিরুপাক্ষ আমি মৃত্যুমুখী। আমার শিব দর্শন কীভাবে হবে? আমি তো দুঃখ সাগরে নিমগ্ন হলাম, আমার প্রভুর দর্শন করতে আমি অসমর্থ, হে প্রভু, আমি অসহায়। আমার কি তবে দর্শন হবে না?" এইভাবে কাতর ভাবে অশ্রু বিসর্জন করতে করতে ১১ জন রুদ্রগণকে ডাকার ফলে তার চোখের জলের দ্বারায় ১১ জন রুদ্রের অভিষেক সম্পন্ন হল এরপর বৃদ্ধ অজ্ঞান হয়ে গেলে রুদ্রগণের সঙ্গে পরমেশ্বর সদাশিব সেখানে প্রকাশিত হয়ে বৃদ্ধকে কোলে তুলে নিয়ে বিশ্বনাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেন।
রাত্রি সময় কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে কিন্তু শিব কৃপায় সেই বদ্ধ অবস্থাতেই বৃদ্ধকে নিয়ে মূল মন্দিরের ভেতরে শিব প্রবেশ করলেন,এরপর বিশ্বনাথ মন্দিরের ভিতরে তাকে রেখে প্রভু অদৃশ্য হয়ে যান। এদিকে কিছু সময় পর বৃদ্ধের জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখলেন সাক্ষাৎ বিশ্বেশ্বর শিব তার সামনে দাঁড়িয়ে। তিনি ওই দৃশ্য দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে কাঁদতে লাগলেন এবং অনেকক্ষণ পর তার মনে হল আমি এখানে কী করে এলাম? তখন তিনি এটিকে প্রভু লীলা মনে করে কাঁদতে লাগলেন আর বললেন, হে পরম পিতা তুমি কত দয়ালু, তা না হলে আমি এখানে এলাম কীভাবে? তখন পরমেশ্বর রুদ্র তাকে দর্শন দিয়ে এবং তার সাথে থাকা এগারো জন রুদ্রগণকে নিয়ে বৃদ্ধের সামনে উপস্থিত হলেন এবং তাকে আয়ু প্রদান করলেন তার প্রাণ বায়ুর ক্ষমতা বৃদ্ধি করলেন তাকে যুবকে রূপান্তরিত করলেন এরপর পরমেশ্বর শিব তাকে একাদশী তিথির মাহাত্ম্য ও বিধি বর্ণনা করে বললেন যিনি এই তিথিতে শিবের একাদশী ব্রত পালন করেন তিনি চার পুরুষাত্ম লাভ করেন ও অন্তিমে সমস্ত লোকের ঊর্ধ্বে থাকা শিব লোক প্রাপ্ত হন। এরপর ওই বৃদ্ধ ও পরমেশ্বর শিবের কৃপায় রুদ্র লোকে কিছুকাল আনন্দ উপভোগ করে মর্ত্যে পুনরায় অবতরণ করে মহাসুখ ভোগ করে জীবনের অন্তিম সাধনার দ্বারা শৈব লোক প্রাপ্ত হলেন।
১৪। এই ব্রতকথা পাঠ করবার পর পরমেশ্বর শিব ও একাদশ রুদ্র গনের নাম স্মরণ করে তাদের প্রণাম করুন। একাদশীর তিথি সম্পন্ন করুন সারা রাত জাগরণ করে ও যথাসম্ভব শিব মন্ত্র ওম নমঃ শিবায় পাঠ করে। এছাড়া এই তিথিতে শিব মহাপুরাণ পাঠ করুন তারপর দিন সকালে স্নান করে শুদ্ধবস্ত্র পরে ত্রিপুন্ড্র ও রুদ্রাক্ষ ধারণ করে পারণ মন্ত্র পাঠ করে ব্রত সম্পন্ন করে শিবপ্রসাদ গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করুন।
১৫। শেষে হাতে একটি ফুল নিয়ে অজান্তে হওয়া ত্রুটির জন্য ক্ষমা মন্ত্র প্রার্থনা করুন এই মন্ত্রে- দেবাদিদেব মহাদেব শরণাগত বৎসল দেবেশ্বর, এই ব্রত দ্বারা সন্তুষ্ট হয়ে আপনি আমাকে কৃপা করুন, হে প্রভু শিব শংকর, আমি জেনে অথবা না জেনে যে জপ,পূজা ইত্যাদি করেছি তা যেন আপনার কৃপায় সফল হয়। এরপর নমো পার্বতীপতয়ে হর হর মহাদেব উচ্চারণ করে পরমাত্মা শিবের উদ্দেশ্যে প্রণাম জানান।