নিয়মিত গান শুনুন

 

গান শুনতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। মুড ভালো থাকুক কিংবা খারাপ আমাদের সাথী হতে পারে একমাত্র গান। আপনি কি রোজ নিয়ম করে গান শোনেন? তা কি আদৌ শরীরের জন্য ভালো? চলুন আজ সেটাই জেনে নিই .................

 

গান মানুষের সৃজনশীলতাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনি যদি লেখালিখি বা ছবি আঁকা প্রভৃতি কাজের সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে সারাদিনের মধ্যে একঘন্টা অন্তত গান শোনার অভ্যেস করুন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গান শোনার ফলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ সক্রিয় হয়ে যায়। ফলে ক্রিয়েটিভ কাজ করার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা অন্যরকমভাবে ভাবার সুযোগ পায়। গবেষকদের মতে, গান শোনার ফলে ডোপামিন নামক একপ্রকার হরমোনের ক্ষরণ হয়। এই হরমোনটি ‘ফিল গুড’ হরমোন নামেই অধিক পরিচিত। তাই মানসিক চাপে থাকাকালীন পছন্দের গান শোনার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিদরা।

 

বেশ কিছু গবেষণাতে দেখা গেছে, নিয়মিত গান শুনলে বা গান শোনার অভ্যেস রাখলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা বেড়ে যায়। এটি কিভাবে হয় তা যদিও স্পষ্ট নয় তবে এটি যে প্রকৃতই হয় তার প্রমান রয়েছে। অনিদ্রার ওষুধ হিসেবেও সবচেয়ে ভালো ওষুধ হলো গান। গবেষণায় দেখা গেছে, গান কানের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে মনের মধ্যে আনন্দ সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাতে ঘুম আসার সমস্যায় ভুগতে থাকলে ঘুমানোর আগে ৩০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট কোনো হালকা সুরেলা গান শোনার অভ্যেস করুন। সমীক্ষা থেকে জানা গেছেসারা বিশ্বের মধ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ মানসিক অবসাদের শিকার। তার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু মানুষ এই দেশেই রয়েছে। এরকম মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষের উপর করা নানা গবেষণা থেকে জানা গেছেমানসিক অবসাদ কমাতে গানের জুড়ি মেলা ভার। ডিপ্রেশনের নানা লক্ষণ কমাতেও গান উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছেএক এক ধরণের গান এক এক রকম এফেক্ট ফেলে থাকে। যেমন দেখা গেছেক্লাসিক্যাল মিউজিক কমফোর্ট ও রিল্যাক্সেশন আনতে সাহায্য করে যেখানে রক মিউজিক কিছুক্ষণ শোনার পরে আনকমফোর্টেবল ফিল করতে পারে। অনেকসময় গান শুনলে মনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা ইমোশন বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে। গান শুনতে শুনতে সেই গানের কাল্পনিক চিত্রায়ণও কল্পনা করে থাকেন অনেকে। সেক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভিটি বাড়ে বলে মনে করা হয়। তাই উপকারিতার কথা মাথায় রেখে গান শোনার অভ্যেস সকলের কমবেশি থাকা উচিৎ।



এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...