দীপাবলির দিন সরকারি ছুটি থাকে সিঙ্গাপুরে

বাঙালিদের এখন যথেষ্ট পছন্দের ডেস্টিনেশন প্রতিবেশী দেশ সিঙ্গাপুর। এখানে ঋতু পরিবর্তন বোঝাই যায়না। সারা বছর একই রকম আবহাওয়া থাকে। তাই বেড়ানোর জন্য সময় বেছে নেবার দরকার পড়েনা। এই উৎসবের মরশুমে সিঙ্গাপুরে গেলে ভারতের সঙ্গে কোনওরকম তফাৎ করা যাবেনা। আসন্ন দেওয়ালি সিঙ্গাপুরের সরকারি ছুটির দিন।

                 প্রথম থেকেই যদিও এমনটা ছিল না। ঘরোয়াভাবেই পালন করা হত আলোর এই উৎসব। তবে বিগত ত্রিশ বছরে ছবিটা বদলেছে। শুধু রাস্তাঘাট নয়, মেট্রো, ট্রেন এমনকি বাসও দেওয়ালির সাজে সেজে ওঠে। এখানকার রামকৃষ্ণ মিশনে নিষ্ঠার সঙ্গে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা ইউনিভার্সাল সোসাইটিও ধুমধাম করে কালীপুজোর আয়োজন করে। সেখানে মাঝরাত অবধি মায়ের পুজো, অঞ্জলি এবং ভোগ প্রসাদের জন্য ভিড় উপচে পড়ে। সিঙ্গাপুরের অন্যতম প্রধান রাস্তা সেরাঙ্গুন রোড।

দিওয়ালি উপলক্ষে প্রায় দু'মাস এই রাস্তা আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। আলোকসজ্জার সঙ্গে থাকে শোভাযাত্রাও। পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অনাবাসীদের অ্যাসোসিয়েশন এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। সিঙ্গাপুরের ভারতীয় পাড়া লিটল ইন্ডিয়ায় এই সময় বিভিন্ন রকম প্রদীপ বিক্রি হয়। থাকে জামাকাপড়, ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ, সুস্বাদু মিষ্টি। বিক্রি হয় বিভিন্ন রকম বাজি। তবে এখানে ইচ্ছে মত যখন তখন বাজি পোড়ানো যায়না। প্রতিটি আবাসনে ম্যানেজমেন্টের তরফে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় কবে, কখন, কোথায় বাজি পোড়ানো হবে।

                 প্রথম দিকে এইসব কিছুর দায়িত্বে ছিল সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ড। ২০০১ সাল থেকে 'লিসা' অর্থাৎ 'লিটল ইন্ডিয়া শপকিপার্স অ্যান্ড হেরিটেজ অ্যাসোসিয়েশন'- ও এই উৎসবে যোগ দিয়েছে। গোটা অনুষ্ঠানে যে অর্থ ব্যয় হয়, তার ৩০-৪০ শতাংশ অনুদান আসে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা থেকে। বাকিটা বহন করে লিসা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সংস্কৃতি নির্বিশেষে এখানে সকলে দেওয়ালিতে অংশগ্রহন করে। এটাই এখানকার দেওয়ালির বৈশিষ্ট্য। 

 

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...