‘ছপাক’ নিয়ে মুগ্ধ সারা দেশ। তর্ক বা বিতর্কের মাত্রা যেভাবেই রেশ ফেলুন না কেন ছবি দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন দর্শকরা। অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবন উঠে এসেছে ‘ছপাক’ এর গল্পে। লক্ষী চরিত্রে দীপিকা পাডুকন। ছবির কথা বলতে গিয়ে বারবার কেঁদে ফেলেছেন দীপিকা। ছবির পরিচালক মেঘনা গুলজারও ব্যতিক্রমী কথা বলেন নি। তিনি জানান, মালতীর চরিত্রে দীপিকাকে নির্বাচন করার কারণ লক্ষ্মীর বাইশ- তেইশ বছর বয়সের চেহারার সঙ্গে দীপিকার চেহারার অসম্ভব মিল। শুধুমাত্র এই কারণ নয়, একজন সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর মানুষের জীবনকে সমাজের অপরাধ প্রবণতা কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলতে পারে তা থাপ্পড়ের মতো দেখাতে চেয়েছিলেন। সমাজের মূল স্রোতে ফেরার লড়াই, যন্ত্রণা অ্যাসিডে পোড়া চামড়ার যন্ত্রণা থেকে কিছু মাত্র কম নয়।
প্রতিবছর ভারতে গড়ে ৩০০ জন মহিলা অ্যাসিড হামলার শিকার হচ্ছে। সমাজের মূল স্রোত থেকে হারিয়ে যেতে যেতেও প্রবল লড়াই করে ফিরে আসা অ্যাসিড হামলায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতেই ‘ছপাক’- এর মতো ছবি করার সিদ্ধান্ত নেন।
এমন বিষয় নিয়ে ছবি করার জন্য দীপিকা পাড়ুকনকে বিশেষ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস এবার মধ্যপ্রদেশের বাণিজ্যনগরী ভোপালে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মার্চে সেই মঞ্চেই মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে দীপিকা পাড়ুকোনকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হবে।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও পুদুচেরিতে পুরোপুরি করমুক্ত করা হয়েছে ‘ছপাক’কে। সরকারি ভাবে বিশেষ প্রচারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে ‘ছপাক’- এর জন্য।
কেবল মাত্র উত্তর বা মধ্য প্রদেশে না, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান ও ‘ছপাক’- এর টিকিট উপহার দিয়েছেন পরিচিতদের।