ভূতচতুর্দশীতে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির মা সিদ্ধেশ্বরীকে সাজানো হয় রাজরাজেশ্বরী রূপে

বিধান সরণীর ঠিক মাঝখানে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। সারাবছর সকাল থেকে সন্ধ্যে লেগে থাকে ভক্ত সমাগম। দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালী পুজো উপলক্ষে ভক্তদের আগমন হয়ে ওঠে দ্বিগুণ।

মন্দিরের বয়স তিনশো বছর পেরিয়েছে। এখানে শ্রীরামকৃষ্ণদেব নিজে আসতেন। শিষ্য কেশবচন্দ্র সেন অসুস্থ থাকার সময় তিনি ডাব আর চিনি দিয়ে সিদ্ধেশ্বরী মাকে মানত করে পুজো দিয়েছিলেন। দীপান্বিতা কালীপুজোর জন্য কৃষ্ণাপঞ্চমীতে মাকে বেদি থেকে নামানো হয়। সে সময় দেবীর অঙ্গরাগ হয়।

b31b0dad-b287-4d09-93c0-3bc4aeb06a57

ধন ত্রয়োদশীতে মাকে পঞ্চমুণ্ডির আসনে আবার প্রতিষ্ঠা করা হয়। কালীপুজোর দিন পরানো হয় দুর্মূল্য বেনারসি শাড়ি।

ঠনঠনিয়া কালী বাড়িতে পূজিতা হন মা সিদ্ধেশ্বরী। ভূতচতুর্দশীতে মা সিদ্ধেশ্বরীকে সাজানো হয় রাজরাজেশ্বরী রূপে। দেবীর মাথায় নটি রুপোর ছাতা, মুকুট, কানপাশা, বালা, কঙ্কণ, মানতাসা, সীতাহার তোড়া সহ নানা অলঙ্কারে সুসজ্জিতা করা হয়। মায়ের রাজরাজেশ্বরী বেশ দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসে।

এদিন মঙ্গলারতি হয় ভোর চারটেয়। রাতে মাকে নিবেদন করা হয় নিরামিষ ভোগ। ভক্তরা কুপন কাটলে মায়ের প্রসাদ পেতে পারেন। কালীপুজোর বিশেষ ভোগে থাকে লুচি, তিন থেকে পাঁচরকম ভাজা, আলুর দম, ধোঁকার ডালনা, ও নানা ধরনের মিষ্টি। আজও এই মন্দিরে বলিদান হয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...