প্রায় ৬ হাজার পুঁথি ডিজিটাইলেশনের উদ্যোগ নিল হাওড়া সংস্কৃতি সাহিত্য সমাজ

প্রাচীন দুর্মূল্য পুঁথি সংগ্রহের কাজ এবার তৎপরতার সাথে শুরু করল হাওড়া সংস্কৃতি সাহিত্য সমাজ। প্রায় ছ'হাজার পুঁথির ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিল তারা।  

Highlights:

১। পুঁথি সংগ্রহের কাজ শুরু করল হাওড়া সংস্কৃতি সাহিত্য সমাজ।

২। প্রায় ছ'হাজার পুঁথির ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিল তারা।

৩। এ বিষয়ে সম্পাদক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের কী বললেন?

হাওড়ার পন্ডিতদের লেখা প্রায় ছ'হাজার পুঁথি রয়েছে এই গ্রন্থশালায়। এবার সেই পুঁথি উদ্ধার করে তা সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিল সাহিত্য সমাজ।

হাওড়া সংস্কৃতি সাহিত্য সমাজের পথ চলা শুরু ১৯৩৭ সাল থেকে। তারপর থেকেই তারা নানান রকম দুর্মূল্য পুঁথি সংগ্রহের কাজে যুক্ত রয়েছে। এই সাহিত্য সমাজের একটি গ্রন্থাগার রয়েছে যেখানে তারা সংগ্রহ করে এই সমস্ত দুর্মূল্য পুঁথি। এখানে থাকা বেশিরভাগ পুঁথিই পনেরো শতক বা পরের সময়কালে লেখা। এই পুঁথিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভারত সরকারের আওতায় রয়েছে।

তবে এইবার সেই সমস্ত পুঁথিকে আবার নতুন করে রক্ষণাবেক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে গবেষণা এবং প্রাচীন লিপি হিসাবে এই পুঁথিগুলোর অস্তিত্ব থেকে যায়।

এই সংগ্রহ করা হবে মূলত পুঁথির ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে। বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারকে এই ডিজিটালাইজেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবে বহু সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। কালের নিয়মে পুঁথিগুলো ধ্বংসের পর্যায়ে চলে গেলেও ডিজিটালাইজেশন এর মাধ্যমে তার সম্পূর্ণ ধ্বংস সাধন হবে না।

এ বিষয়ে সম্পাদক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই লাইব্রেরীতে বহু অমূল্য পুঁথি রয়েছে এবং বহু পুঁথি এমন রয়েছে যেগুলো রামায়ণ ও মহাভারতের উপর নির্ভর করে লিখিত। বিভিন্ন গবেষকরা তার দ্বারা উপকৃত হন। কিন্তু বারংবার ব্যবহারের ফলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এই ডিজিটাইলেশনের ভাবনা। ডিজিটাল লাইব্রেরী তৈরি হলে এই পুথিঁগুলিকে আরো যত্ন সহকারে সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...