আচ্ছা, বিখ্যাত সব পাণ্ডুলিপি যদি মুঠো ফোনেই পড়ার সুযোগ থাকে? আর তা যদি হয় বেশ পুরোনো আর সাহিত্য মানে উচ্চ, এমন সব লেখা বই পোকাদের কাছে বিশেষ উপাদেয়। এমনি আকর্ষণীয় সুযোগের সন্ধান পেতে হলে একবার ঘুরে আসতে হবে বই মেলা প্রাঙ্গনে। এবারের বইমেলায় এই সুযোগ নিয়ে এসেছে আই আই টি খড়্গপুরের তৈরী ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অফ ইন্ডিয়া।
১৯৩৭ থেকে ১৯৮০ যুগান্তর পত্রিকার কাগজের কোন খবর পড়তে চাইলে বা সত্যজিৎ রায়ের 'খেরোর খাতা'-র পাণ্ডুলিপি পড়তে চাইলে চলে যান এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে। গত বছর এই ডিজিটাল লাইব্রেরির আত্মপ্রকাশ হলেও এবারের বই মেলায় প্রথম স্টল দিয়েছে ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অফ ইন্ডিয়া। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্যোগেই মূলত তৈরী হয় ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপটি। লাইব্রেরিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মোচন করেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী।
ডিজিটাল লাইব্রেরিতে পড়া যাবে দু'কোটিরও বেশি জার্নাল, বই, গবেষণা পত্র, অডিও বুক। বিনামুল্যে এই লাইব্রেরি থেকে ডাউনলোড করে পড়া যাবে দেড় কোটি কন্টেন্ট। বইমেলা ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অফ ইন্ডিয়া-র স্টল নাম্বার ৩৮৩। স্টলে পৌঁছে নির্দিষ্ট বইয়ের কিউ আর কোড ডাউনলোড করলেই পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বইটির ডিজিটাল ভার্সান। পকেটের চাপ কমাতে ডিজিটাল বই পাঠকদের কাছে লোভনীয় সুযোগের মত। তাছাড়া ভার বহনের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল লাইব্রেরি শুধু জায়গা করে নিতে পারবে আমাদের মুঠো ফোনেই।
বই মেলায় ৩৮৩ নম্বর স্টলের ভিতরে মিলবে বিভিন্ন ধরণের বইয়ের কিউ আর কোড। আম আঁটির ভেঁপু, দিবারাত্রির কাব্য, মোপাসাঁর ছোট গল্প সহ বিস্তর জনপ্রিয় বইয়ের কিউ আর কোড রয়েছে স্টলটিতে। যারা স্টলটির ভিতরে প্রবেশ করতে চাননা, তারা বাইরে থেকেও কিউ আর কোড স্ক্যান করে বই ডাউনলোড করতে পারবেন। তার জন্য স্টলের বাইরেও দেওয়া হয়েছে কিউ আর কোড। এন ডি এল আই - এর ওয়েব সাইট থেকেও পড়া যাবে সংরক্ষিত বইগুলি। সে ক্ষেত্রে কিউ আর কোড স্ক্যান না করলেও হবে কিন্তু সাইট থেকে কোন বই ডাউনলোড করে পড়ার সুযোগ থাকবে না।