কলকাতা শহরে ইতিমধ্যেই ইলেকট্রিক বাস যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে, সেকথা আমরা সকলেই জানি। এবারে সেই পথেই রাস্তাকে আরও দূষণমুক্ত করার উদ্দেশ্যে হলুদ ট্যাক্সিগুলিকে বিদ্যুৎচালিত করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানান, এক হাজার ট্যাক্সি নামানোর জন্য প্রাথমিকভাবে প্রতি ট্যাক্সি পিছু এক লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করবে পর্ষদ।
রাজ্য পরিবহন দফতর এই রকমই প্রস্তাব দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে। এই দুটি সংস্থা মিলে শহরকে দূষণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৩৫ হাজার ট্যাক্সি চলত। পরিবহন দফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সেই সংখ্যাটা ২০-২২ হাজারের কাছাকছি পৌঁছেছে। এছাড়াও ২০ হাজারের মত অ্যাপ ক্যাব চলে শহরে। পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, নতুন ট্যাক্সি নামানোর জন্য এখন সরকার দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাহায্য করছে। তার ওপর বিদ্যুৎ চালিত ট্যাক্সির জন্য পর্ষদ আরও এক লক্ষ টাকা দেবে। ইলেকট্রিক ক্যাব নামানোর জন্য চালকদের আগ্রহী করতেই এই আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে। প্রথমে ১ হাজার চালকের কথা ভাবা হয়েছে। পরে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। পরিবেশ বান্ধব ওই সব গাড়িগুলো চার্জের ব্যবস্থা করার জন্য আরও পয়েন্ট তৈরির বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
কয়েক বছর আগে ডিজেল বা কাটাতেল-এ চালিত অটোকে এলপিজি চালিত করার জন্য সরকার ভর্তুকি দিয়েছিল। এর পাশাপাশি দূষণ রোধ করার জন্য পর্ষদ ড্রোন ব্যবহার করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি ব্যারাকপুরে গঙ্গার গতি রুদ্ধ করে পাঁচিল তোলার বিরুদ্ধে পর্ষদ ব্যবস্থা নিয়েছে। যে সব জায়গায় পরিবেশবিধি না মেনে নির্মাণ হচ্ছে, তার ওপর নজরদারির জন্য ড্রোনের ব্যবহার করা হবে। শহরের বায়ু দূষণের উৎস খুঁজতে ও দূষণে কোন উৎসের অবদান কতটা, তা নির্ধারণ করতে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নিরি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে।