মানুষ সবসময় চায় যে সে নিজে যে কাজটি করছে তা যেন নিখুঁত হয়। কিন্তু অনেক সময় নিখুঁত ভাবে করার ব্যাপারটা সম্ভব হয় না। যার ফলে অবশেষে কাজটি করেই ওঠা হয় না। আর এই ব্যর্থতার কারণে জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। এই অভ্যেস গুলি থেকেই জন্ম নেয় ‘অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার’। অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার থেকে বাঁচতে খতিয়ে দেখুন আপনার মধ্যে এর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না তো। জেনে নিন এর লক্ষণগুলি
কাজ হতে হবে একদম নিখুঁত। সে রান্না করা থেকে চন্ডিপাঠ যাই হোক না কেন।
অন্যদের ও ঠিক একই ভাবে কাজ করতে হবে। আর সে যদি না করে তাহলে সে অযোগ্য। বেশির ভাগ অশান্তির সৃষ্টি হয় তার থেকেই।
সন্তানদের প্রথম হতে হবে। নিজেকেও প্রথম হতে হবে সব জায়গাতে। আর চাহিদা পূরণ না হলে অশান্তি, রাগ, হতাশা প্রভৃতি দেখা দেয়।
যে কোনো কাজ শেষ করা তাদের উদ্দেশ্য থাকে না বরং নিখুঁত ভাবে কাজ করাটা মূল উদ্দেশ্য।
যতই ভালো মত কাজ হোক না কেন এরা সন্তুষ্ট হয় না।
এই লক্ষণগুলি যদি নিজেদের মধ্যে দেখেন তাহলে বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে অর্থাৎ অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার এর কবলে যাওয়ার আগে কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
যে কাজ বাদ গেলো তা নিয়ে ভাববেন না। প্রতিদিন কাজের সময় বেঁধে নিতে হবে।
নিজের দোষ, গুণ, চাহিদা গুলি লিখুন। এবং ভাবুন এগুলি কি বাস্তবসম্মত।
অন্যের কাজ পছন্দ না হলে রাগ না করে ভাবুন। তার এই কাজ করার ক্ষমতা আছে কি না।
এই সব মানুষেরা সব কাজে দ্বায়িত্ব নিয়ে আলাদা চাপ তৈরী করে। এত দ্বায়িত্ব নেবেন না কিছু কিছু ক্ষেত্রে না বলতে শিখুন।
সপ্তাহে একদিন কাজের সব টেনশন ঝেড়ে ফেলে আনন্দ করুন। বছরে দুবার বেড়াতে যান। পরিবার, বন্ধুবান্ধব কে সময় দিন। এছাড়া প্রাতঃভ্রমন, যোগব্যয়াম, শরীরচর্চা করুন। এবং অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিন।
তবে একথাও ঠিক, কোনো কাজ যেমন তেমন করেও করা উচিত নয়। প্রতিটা কাজের পেছনে যেন নিষ্ঠা থাকে। ছোট থেকেই যে কোন কাজ সুন্দর করে করতে শিখতে হবে। সৌন্দর্য একটা শিল্প, সেটা ঠিক মতোই করা উচিত। সবাই শিল্পের অথবা শিল্পীর মানসিকতার হয়না। সেটা বুঝতে হবে। শিল্পী মন কোনো কাজ যখন করে, তখন নিখুঁত করেই করার চেষ্টা করে। কিন্তু খুঁতখুঁতে ব্যাপারের সঙ্গে শিল্পী মন গুলিয়ে ফেললে ঠিক হবেনা। তাই আগে নিজেকে চিনুন। নিজেকে জানুন। নিজে কতটা পারদর্শী, একটা কাজের ক্ষেত্রে সেটা জানতে পারাই হবে আপনার সাফল্যের ঠিকানা।