হিরে গায়েব করে কাঠগড়ায় ইঁদুরের দল

কথায় আছে,‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’| বাঙালিদের কাছে এই প্রবাদটি বেশ প্রিয়| নিজে  দোষ না করলে যদি কেউ তার ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে তাহলে এই প্রবাদটি প্রায়ই বলে থাকেন বাঙালিরা| কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যত দোষ নন্দ ঘোষের জায়গায় আমাদের বলতে হবে যত দোষ ইঁদুর ঘোষ|

না, ইঁদুর যে কোনো মানুষের নাম নয় তা তো সবাই বুঝতেই পারছেন| কিন্তু ভাবছেন এইসব কেন লেখা হচ্ছে| লেখা হচ্ছে কারণ সুদূর পাটনায় ঘটেছে এমনই এক ঘটনা যাতে আবারও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে মুষিকবাহিনীকে| এর আগে জেলের মালখানা থেকে মদ চুরির অপবাদ জুটেছিল ইঁদুরবাহিনীর কপালে| এবার আর মদ চুরি নয়| সরাসরি হিরে চুরির দায় ঘাড়ে চাপানো হয়েছে মুষিককুলের|

বিহারের ইঁদুরেরা আগেই চুরির দায়ে ফেঁসে ছিল|তবে তা ছিল ছোটখাটো চুরি| কিন্তু এবারের চুরি টা তো আর ছোটখাটো চুরি নয়| হিরে চুরি বলে কথা| পাটনার বোরিং রোডের ধারে অবস্থিত একটি গয়নার দোকান থেকে সম্প্রতি খোয়া যায় বেশ কয়েকটি দামী হীরের গয়না| যথারীতি খোঁজখবর শুরু করে দোকান কর্তৃপক্ষ| যথা সময়ে পুলিশকেও জানায় তারা| দোকানের নকল সিলিং, আবর্জনার জায়গা সর্বত্র খোঁজার পরেও যখন হীরের হদিস মিলল না তখনই পুলিশের শরণাপন্ন হয় দোকানের মালিক| দোকানের কোনো কর্মচারী কাজটি করেছে ভেবে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়| পুলিশ এসে খোঁজ খবর শুরু করে প্রথমেই দোকানের মধ্যে থাকা তিনটি সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে চান| সেখানেই আসল রহস্য সামনে আসে| দেখা যায়, বেশ সন্তর্পনে হীরের প্যাকেট মুখে করে নিয়ে পালাচ্ছে ইঁদুর|আর তা কারোর চোখেও পড়ছে না|

ফুটেজ দেখে হতবাক দোকানের মালিক থেকে কর্মচারী, পুলিশ থেকে প্রশাসন| এর আগে মালখানা থেকে মদ গায়েব করার পর ইদুর বাহিনীকে জেল থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল| সেই নিয়ে একাকার হয়েছিল রাজ্য ও রাজনীতি| অনেকেই ইদুরের হয়ে তখন কথা বলেছিলেন| কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এবার আর কিছু বলার নেই| কারণ মুষিকবাহিনী এবার যে নিজ কর্মের প্রমান রেখে গেছে|

জানা গেছে, এখনো সেই হারানো হীরের খোঁজ মেলেনি| দোকানের নকল সিলিং-এর ভিতর এখনও  খোঁজখবর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দোকানের মালিক|

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...