গোটা বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে ডায়বেটিস। শরীরে মধুমেহের থাবা একাধিক রোগকে ডেকে আনে। তার মধ্যে ক্যানসারও আছে। ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে ক্যানসার বেশ জটিল আকার ধারণ করে।
টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগে রক্তের শর্করা দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। দেহের একাধিক অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে “ডিএনএ ড্যামেজ” হয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকলে ডিএনএ ড্যামেজ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের ওভারিয়ান, ব্রেস্ট, কিডনি এবং অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণেরও বেশি। মহিলাদের তুলনায় পুরুষের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক হলেও ডায়াবেটিস আক্রান্ত পুরুষের স্তন ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা মহিলাদের তুলনায় বেশি।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্যান্সার ঝুঁকির কারণ হরমোনাল ডিসরেগুলেশন। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন হরমোন কার্যকরভাবে কোষে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে পারে না। ফলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য অগ্ন্যাশয় আরও বেশি পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে এবং দেহে ‘হাইপার ইনসুলিনেমিয়া’ সংঘটিত হয়।
সঠিক খাবার, শারীরিক কসরত, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়ম মেনে ওষুধ এবং সুস্থ জীবনযাত্রায় এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।
ডায়বেটিস এবং ক্যানসার জটিলতা নিরাময়ে পূর্বভারতের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান সরোজ গুপ্তা ক্যানসার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট। এখানে আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এবং সমস্ত রকম আধুনিক সাপোর্ট সিস্টেম। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সমস্ত তথ্য ও হেল্পলাইন সহায়তা পাওয়া যায়।