একটি দুর্গা পুজোর থিম টাই যদি হয় “দুর্গা পুজো”, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে ভেবে দেখেছেন কখনও? বিষয় টা একটু গোলমেলে হলেও তা যথেষ্ট পোক্ত। বাঙালির এই শ্রেষ্ট উৎসব কিন্তু নতুন নয়। বহু বছর আগেও এই পুজো করার প্রচলন ছিল। তখনকার দিনের সেই রিতী নিতী হয়ত আজকে অনেকেই পালন করে না বা জানে না। তেমন অনেক রিতী আছে যা হয়ত সময়ের পাতায় হারিয়ে গেছে। সেই সকল হারিয়ে যাওয়া বা হারিয়ে যেতে বসা পুজোর রিতী নিয়েই সেজে উঠছে ঢাকুরিয়া প্রগতি সংঘ-র পূজা মন্ডপ।
জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে, জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন সেই পূজা কমিটি দুই কোষাধ্যক্ষ ত্রিবিক্রম মিত্র, সৌমজিৎ ভট্টাচার্য ও কমিটির মহিলা সদস্য অন্তরা মিত্র। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে তাদের পুজোর বিষয় জানলাম আমরাও। এই বছর ৫৮তম বর্ষে পদার্পন করল এই ক্লাব। আর তাই ২০১৯ শারদোৎসবের চমক হিসাবে শিল্পী অভিক বরালের ভাবনায় সেজে উঠছে তাদের পূজা মন্ডপ। শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সদস্যদের মতে মহালয়ার পরে এক কি দুইদিনের মাথায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে প্রবেশ দ্বার।
পুজোর পাঁচটি দিন পাড়ার সকল অধিবাসীদের জন্য থাকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন। যার মধ্যে প্রধান উল্লেখ্য হল মহিলাদের সন্ধী পুজোর ডালা সাজানো প্রতিযোগিতা। অষ্টমীর দিন বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয় সকল পল্লীবাসীদের জন্য। আর পুজোর শেষ দিন হিসাবে নবমীর দিন পল্লীবাসীরা সকলের জন্য এলাহী খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়। দশমীর দিন চোখের জলে বিদায় জানানো হয় মাকে।
দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রো-এ উঠে নামতে হবে কালিঘাট মেট্রো, সেখান থেকে বাসে করে ঢাকুরিয়া স্টপেজের নিকটে এই পূজা মন্ডপ। আর যারা ট্রেনে করে আসতে চান তাহলে শিয়ালদহ থেকে সোনারপুর বা কাকদ্বীপ লাইনের যে কোনও ট্রেনে উঠে ঢাকুরিয়া স্টেশনের নিকট এই পূজা মন্ডপ।