নির্বাচনেই সময় এগিয়ে আসতেই জেলায় জেলায় বাড়ছে ড্রোনের চাহিদা। প্রতিদিনই রাজ্য পুলিসের সদর দপ্তরে জেলা পুলিসের তরফ থেকে ড্রোন চেয়ে আবেদন জমা পড়ছে। কারন আসন্ন নির্বাচনের দিন গোলমালের খবর পেতে ড্রোনের উপরই ভরসা করছেন অফিসাররা। আর সেই কারণেই রাজ্য পুলিসের নিজস্ব যে কয়েকটি ড্রোন রয়েছে তা নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে তাঁরা। যাতে কম পড়লে কলকাতা পুলিসের কাছে থাকা ড্রোন নিয়ে প্রয়োজনে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। এছাড়াও ভাবনাচিন্তা চলছে যে অন্য কোনও সংস্থা থেকে ড্রোন ভাড়া নেওয়া যায় কি না।
লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে আর একমাসও বাকি নেই। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে কেন্দ্র বাহিনীর টহল। তাই নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করানো রাজ্য পুলিসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে জেলাগুলি মনে করছে, শুধু পুলিসকর্মী দিয়েই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলে হবে না। আকাশপথে নজরদারিও চালানো প্রয়োজন। বিশেষত উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানো বিশেষভাবে দরকার। কারণ এই ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে সহজেই ধরা পড়বে কারা কারা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। সেই কারণেই জেলাগুলির তরফে আবেদন আসতে শুরু করেছে, ভোটের সময়ে তাদের জেলায় ড্রোন পাঠানোর জন্য। তাই বাড়তি ড্রোনের ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে পুলিস কর্তৃপক্ষ। তবে এই বিষয়ে জানা গিয়েছে, কলকাতার ভোটের দিন অন্য জেলাতেও ভোট রয়েছে। তাই ওইদিন খুব স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পুলিসের পক্ষে তাদের ড্রোন দেওয়া বেশ কঠিন। আইনশৃঙ্খলার রক্ষার দিকটির কথা বেশ ভাবতে হচ্ছে জেলার কর্তাদের। সেই কারনে পুলিস কর্তারা বাড়তি ড্রোনের ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় এবং প্রয়োজনে অন্য কোনও এজেন্সির কাছ থেকে তা পাওয়া যায় কি না, এই নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করছেন বলে জানা গিয়েছে।