গুরুনানকের ৫৫০তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে দিল্লীর প্রতিটি গুরুদ্বা্রে ভক্তদের প্রসাদের বদলে 'চারাগাছ' বিতরণ করা হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিল্লীর গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির তরফ থেকে। মূলত বৃক্ষরোপণ সংক্রান্ত প্রচারের স্বার্থেই এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কমিটির সভাপতি মঞ্জিন্দর সিং জানিয়েছেন,
দিল্লীর সমস্ত গুরুদ্বার ও শিখ শিক্ষাঙ্গনগুলিতে ১লক্ষেরও বেশি চারা গাছ রোপণ করার বৃহৎ উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লী গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি। গুরু নানক দেবের মহার্ঘ্য বার্তা ‘প্রকৃতির জন্য প্রেম’ উদযাপন করতে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে থাকা ৯টি কলেজের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা আবশ্যক।
নবীন শিক্ষার্থীরা কলেজে ঢুকেই অন্ততপক্ষে ১০টি করে চারাগাছ পুঁতবে এবং তার মাধ্যমেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে গুরুনানকের ৫৫০তম জন্মতিথি।
তিনি আরও জানিয়েছেন,
এর ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন ও ঊষ্ণায়নের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার বিষয়ে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি হবে। এই ৯টি কলেজের বর্তমান মরশুমের নবীন ছাত্রছাত্রী্দের হাত দিয়ে প্রায় ৫৫,০০০ পরিবেশবান্ধব নতুন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হবে।
শুধু তাই নয়, ঊষ্ণায়ন সম্বন্ধে শিক্ষার্থীদের উৎসাহী করতে এই বৃক্ষরোপণ প্রক্রিয়া তাদের স্কুল প্রজেক্ট রূপে গৃহীত হবে এবং তা যোগ হবে বছর শেষে অ্যান্যুয়াল রেজাল্টের সঙ্গে। সে ক্ষেত্রে ছবি সহ তাদের নিজস্ব রোপিত বৃক্ষ সম্বন্ধীয় রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
ডিএসজিএমসি’র তরফ থেকে শিখ শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, নিজেদের বাড়িতে, নির্দিষ্ট উপাদানের মাধ্যমে বৃষ্টির জল সংগ্রহের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং সে সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট প্রিন্সিপাল’কে জমা দিতে। তরুণ প্রজন্মের মনে সচেতনতার চারা পুঁতে দিতেই এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঐ দিন দিল্লীর গুরুদ্বারগুলিতে, প্রসাদস্বরূপ ভক্তদের প্রায় ২ লক্ষ ফলবহনকারী চারাগাছ সহ আম, গুল্মোহর, জামুন, আমলা, নিম ও বেরের মতো দূষণদমনকারী গাছের চারা বিতরণ করা হবে, গাছগুলি ঠিকঠাক রোপণ করতে পারলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার কাজে অনেকটাই সহায়ক হয়ে উঠবে শিখ সম্প্রদায়ের এই মহা উদ্যোগ।