সারাদিনের ক্লান্তির পর একজন মানুষের প্রয়োজন একটু শান্তির ঘুম। কিন্তু বিছানা মনের মতো না হলে ঘুম ভালোভাবে হয় না। অনেকেই আছেন যারা নিজের বালিশ ছাড়া আবার ঘুমাতেই পারেন না। কিন্তু যতই নিজের বালিশ আপনি ব্যবহার করুন সেই বালিশটি আপনার জন্য সঠিক কিনা কিভাবে বুঝবেন? জানা আছে কি 'পারফেক্ট বালিশের' সংজ্ঞা?
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘুম ভালো হওয়ার জন্য বালিশটি একেবারে পারফেক্ট হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঠিক কোন ধরণের বালিশকে বলা হয় পারফেক্ট বালিশ চলুন জেনে নেওয়া যাক.......
বালিশকে পারফেক্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজন ঠিকঠাক আকার, ঠিকঠাক উচ্চতা, ঠিকঠাক উপকরণ এবং ঠিকঠাক ঢাকনা। এতকিছু জিনিস ঠিক না থাকলেই সমস্যা। হয় ঘুম আসবে না নাহয় অনিদ্রা ভর করবে। কিন্তু বালিশ কেনার বা বানানোর সময় যদি এইসব জিনিসের উপর খেয়াল রাখা যায় তাহলে অনেকটাই উপকার হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বালিশের আকার, আয়তন আর উচ্চতা ঠিক কত হওয়া উচিত।
বালিশের আকার- বালিশের আকার নিজের পছন্দ মত বেছে নেওয়ার কথাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে, খুব ছোট বালিশ ব্যবহার করতে না করেছেন তারা। মাথা যদি বালিশের ঠিক মাঝখানে না থাকে তাহলে মাথা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাজারে আজকাল মাঝারি থেকে শুরু করে স্ট্যান্ডার্ড, কিং, কুইন নানা সাইজের বালিশ পাওয়া যায়। তার মধ্যে নিজের মাথার মাপ অনুযায়ী একটা বালিশ কিনে নেওয়াই ভালো।
বালিশের কভার- পরিষ্কার বালিশের কভার না হলেও অনেকের ঘুমে সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বালিশের কভার খুব বেশি খসখসে হওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে দোকান থেকে কেনা চাদরের সাথে যেসব বালিশের কভার থাকে সেগুলো মূলত শক্ত সুতির কাপড়ে তৈরী হয়ে থাকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নরম সুতির কাপড় কিংবা মখমলের কাপড় যেমন চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তেমনই ঘুমের জন্যও খুব ভালো।
বালিশের উচ্চতা- এই বিষয়টি ঘুমের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত।অতিরিক্ত উঁচু কিংবা একেবারে নিচু এই দুইধরণের বালিশই ঘুমের জন্য খারাপ হয়ে থাকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বালিশের উচ্চতা সবসময় মাঝারি হওয়া উচিত। যাতে বালিশে ঘুমানোর সময় ঘাড়ে একেবারেই না লাগে। ঘাড় ও বালিশের উচ্চতা সমান্তরালে থাকা উচিত।
বালিশের উপকরণ- বালিশের উপকরণ প্রাকৃতিক হওয়াই ভালো। ফোমের বালিশ বা সিনথেটিক তুলোর বালিশ ঘুমানোর জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। তার থেকে তুলোর বালিশে ঘুমানোর অভ্যেস করে ভালো।