কল্লোলিনী কলকাতা শহর| জব চার্নকের ৩০০ বছরের পুরানো কলকাতার বয়স বেড়েছে,পাল্টেছে তার রূপ| সুতানুটি,গোবিন্দপুর,কলকাতা এই তিনটি গ্রাম নিয়ে তৈরী হওয়া তৎকালীন কলকাতার শরীরেও লেগেছে কালের নিয়মে আধুনিকতার ছোয়া ও গন্ধ....তিলোত্তমা কলকাতার ঝাঁ চকচকে শপিং মল,কফি শপের ভিড়ে কোথাও না জানি হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্যশালী বাড়িগুলি,যা একসময় ঐতিহ্যের ধারা বহন করত তা এখন জরাজীর্ণ ভগ্নপ্রায় দশা।
পরিচর্যা ও উত্তরাধিকারের অভাবে ঐতিহ্যময় ও বনেদীয়ানায় ভরপুর উত্তর কলকাতার বাড়িগুলোর দশা এখন প্রায় ভগ্নপ্রায়। কালের অগ্রগতির সাথে সাথে আধুনিকতার মোড়কে কোথাও তার অবলুপ্তি ঘটেছে। হারিয়ে যাচ্ছে উত্তর কলকাতার আসল পরিচয়। উত্তর কলকাতার অলিগলি,পাড়া, উচ্ছল শৈশব,চায়ের দোকানে তুমুল আড্ডাও অনেক কমে গেছে। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এ একপ্রকার এই কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পুরানো বাড়ির ভবিষ্যৎ যে দিনে দিনে অন্ধকার হচ্ছে আর সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে প্রমোটিং ও ফ্ল্যাট কালচার সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এরকম ভাবেই উত্তর কলকাতার দুটি বাড়ির কথা উল্লেখ করা যায় তা হল বাগবাজারের ব্সুবাটি
আর দ্বিতীয় হল শোভাবাজার ঘাটের কাছে অবস্থিত পুতুলবাড়ি....
প্রথমে আসা যাক বসুবাটির ইতিহাসে। ২২বিঘা জমির ওপর ইঞ্জিনিয়ার নীলমনি মিত্রকে বাড়িটি তৈরির দায়িত্ব দেন শিল্পী নন্দলাল বসু। বাড়ির ঠাকুরদালান, দেওয়ালের চিত্রকলা এই বাড়ির এক অন্যতম দেখার বিষয় যা বিশেষভাবে নজর কাড়ে। এছাড়াও স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে এই বাড়ির ওতোপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে বেশ কিছু বাংলা ছবিতে এই বাড়ির অন্দরের ছবি আমরা দেখতে পেয়েছি। সেই অর্থে জরাজীর্ণ না হলেও এটি কলকাতার একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বাড়ি বলা চলে।
অন্যদিকে উত্তর কলকাতার একেবারে গঙ্গার তীরে শোভাবাজার জেটি ঘাটের কাছে এই পুতুলবাড়ি। রোমান ধাঁচে এই বাড়ি পুতুল দিয়ে সাজানো। একসময় এখানে তৎকালীন সমাজে বাবুদের ভাল আনা গোনা ছিল। তবে একসময় যেই বাড়ি ভরে উঠত আলোর ছটায় আজ সেই বাড়ি প্রায় ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে।