দুইকানে হেডফোন আর দুনিয়াটা হয়ে যাক সাদা কালো। হেঁটে যাক সবাই নিঃশব্দে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অনেক কাজ, অনেক দৌড়াদৌড়ির মধ্যে হতাশা কিন্তু আস্তে আস্তে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিচ্ছে। এতো দৌড়, এতো চাপ আর এই প্রতিযোগিতার যুগে হতাশা কিন্তু থেকে যায় মনের কোনায়।
হতাশা নিয়ে অনেক কেতাবি আলোচনা করে যায়। কিন্তু এতে মনটা এতো জড়িয়ে যে কেতাবি কথা বলতেই ইচ্ছা করে না। মনে হয়ে মনের সমস্যা মন দিয়েই ঠিক হবে।
আমাদের জীবনের প্রতি মুহূর্তে আছে বাধা, আছে সমস্যা। মনের এতো জটিলতার মধ্যে তৈরী হয় অনেক হতাশা যা বলা যায় না। কেউ বুঝবে না এই ভেবেই বালিশ ভেজানোর পালা চলে অনেক সময় ধরে। আশা লুটিয়ে পরে মেঝেতে, খুঁজে পাওয়া যায় না বন্ধু, বেশি বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না। শুধু চেয়ে থাকে মন জানালায়।
উদাস এই সমস্যাগুলো বেরিয়ে আসতে চায় না সহজে। নোনাজল পড়ে, আর উদাস হাওয়া বয়ে যায় চারিধারে।
কিন্তু মনকে চলতেই হবে, উঠে কি বসতে হবে না? বিছানা ছাড়তে হবে না ?
জানি মানুষের জীবনের সমস্যা গুলো অনেক বড়। কতটা জটিলতায় ভর্তি। কিন্তু এটাই তো জীবন। সকালের প্রথম ফোটা ফুল, সবুজ পার্কের বৃদ্ধ যুগল কিংবা প্রথম প্রেমে পড়া প্রেমিক প্রেমিকা, এই ছোট্ট ছোট্ট জিনিসগুলো আমাদের ওই বড় হতাশাগুলো মুছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে
প্রিয়,
হতাশ মন,
এসো গরমের প্রথম বৃষ্টিটা ভিজে নিই, এসো জামা নোংরা করে খাই আমরা,
চলো ভুলে যাই সেই হাজার বালিশ ভেজা রাত
চলো নতুন রাস্তা খুঁজে, বেরিয়ে পড়ি ফেরি করে,
চলে যাবো বহুদূর, ফিরে তাকাবনা ওই হতাশ পথে,
সামনে বিশাল রাস্তা,
চলো হাঁটি, চলো দৌড়ে পার হই রাস্তা
হতাশ মন খিলখিলিয়ে হাসো, শুধু হাসো,