ননস্টিক বাসনে বিপদ

বর্তমানে সকলের হাতেই সময়ের বড় অভাব। তাই চটজলদি কিছু রেসিপি হাতের কাছে থাকলে আজকাল মানুষ বেশি ভরসা করছে বাইরের  খাবারের উপর। কিন্তু সপ্তাহান্তে যখন আসছে শনিবার এবং রবিবার তখন ভোজনপ্রিয় বাঙালি কিন্তু কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছে মাছ, মাংস প্রভৃতি। আর তেল কম লাগার সুবাদে সেই রান্না করা হচ্ছে কিন্তু ননস্টিক প্যানে। কিন্তু ননস্টিক প্যানে রান্না করার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে শরীরে তা হয়তো না জেনেই মানুষ বেশি ঝুঁকছে এইজাতীয় বাসনপত্রের প্রতি। আর তাতেই বিপদের কালোমেঘ দেখছেন বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে চিকিৎসকেরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ননস্টিক প্যান তৈরী হয় পারফ্লুওরোয়ালকাইল কম্পাউন্ড (পিএফসি) দিয়ে। আর এই যৌগটিকেই ভয়ের মূল কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এই যৌগটিকে ইতিমধ্যেই কার্সিনোজেনিক অর্থাৎ এই  যৌগটি থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তীব্র বলে চিহ্নিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, শুধু ক্যান্সারই নয় এর সাথে বন্ধ্যাত্ব, থাইরয়েড প্রভৃতি রোগের সৃষ্টিও হয় এই যৌগটির থেকে। এই যৌগটি যে মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর তা স্বীকার করেছেন একাধিক ননস্টিক বাসন নির্মাণকারী সংস্থা। তারা জানিয়েছেন, ননস্টিক তৈরিতে এই যৌগটির ব্যবহার প্রায় ১০ বছর হয়ে গেলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ননস্টিক ফ্রাই প্যান থেকে ক্ষতির সাবধানবাণী হাতে কলমে প্রমান করার জন্য গবেষকরা ৩৮৩ জন ছাত্রের উপর একটি পরীক্ষা চালান। দেখা গেছে, এদের মধ্যে ২১২ জন ছাত্রের রক্তে এই যৌগটির উপস্থিতি রয়েছে। দেখা গেছে, পুরুষের জননতন্ত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করেছে এই যৌগটি। গবেষকরা জানিয়েছেন,  শুধু ননস্টিক প্যানে নয় ফাস্ট ফুড মোড়ার প্লাস্টিকের মধ্যেও এই যৌগটি বর্তমান। তাই জন্য এই যৌগটির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে গেলে শুধু ননস্টিক বাসনের ব্যবহার বন্ধ করলেই চলবে না। তার সাথে ফাস্ট ফুড মোড়ার কাগজের ব্যবহারও কমাতে হবে।

তাই যুগের তালে তালে ভেসে না গিয়ে অভ্যেস রাখুন আগের মতোই অর্থাৎ রান্না করুন স্টিলের বাসনে এবং অ্যালুমিনিয়ামের বাসনে। এইসব বাসন থেকে ক্ষতির হার অনেক কম। আর তেল যদি কমই খেতে হয় তাহলে ননস্টিকের বাসনের দরকার নেই অল্প তেল রান্নায় ঢালুন তাহলেই প্রব্লেম সল্ভড!

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...