জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল দক্ষিণ কলকাতা তরুণ সমিতির দুই সদস্য। পুজোর আড্ডা @জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে আড্ডা দিতে হাজির ছিলেন ক্লাবের সাধারণ সদস্য শ্রী সঞ্জু ভট্টাচার্য্য এবং এবারের থিম শিল্পী শ্রী বিশ্বজিৎ বড়ুয়া।
তারা জানালেন, দীর্ঘ ৮৪ বছরের পথচলা হলেও গত ৬ বছর ধরে থিম পুজো শুরু করেছে এই ক্লাব। প্রথম বছর পাটকাঠি দিয়ে মনিপুরের একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরী করেছিল এই ক্লাব। তারপর থেকেই নানা থিম তারা উপহার দিতে থাকে সাধারণ দর্শনার্থীদের। ৮৪ তম বর্ষে এই ক্লাবের থিম 'স্বর্ণময়ী' যেখানে স্বর্ণ হলেন একজন কাল্পনিক নারীচরিত্র। মায়ের আসার আনন্দে তার আঙিনা সাজাচ্ছে স্বর্ণ। শিল্পী জানালেন, মণ্ডপ মোট তিনটি অংশে বিভক্ত থাকছে। প্রথম ভাগে দেখানো হচ্ছে পুরাতন বাংলার প্রসিদ্ধ লাঠিখেলা, দ্বিতীয়ভাগে স্বর্ণের আঙিনা সাজানোর কিছু দৃশ্য এবং তৃতীয় ভাগটি হলো সেই স্থান যেখানে অধিষ্ঠিত থাকবেন দেবী মহামায়া। এখানে যেহেতু স্বর্ণ নামক একজন নারীচরিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে তাই নারী ও শক্তির মিশেলেই তৈরি হচ্ছে মায়ের আসন।
শিল্পী জানান, পরের বছরের পুজোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায় পুজোর শেষ থেকেই। সেই মতো আগের বছরের পুজোর শেষেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এই বছরের পুজোর। বাংলার হারিয়ে যাওয়া কিছু নিদর্শন, কিছু শিল্পকেই এইবছর তুলে ধরার ইচ্ছে ছিল শিল্পীর। সেই মতো বাংলার লাঠিখেলাকে তুলে ধরা হয় দর্শনার্থীদের সামনে। জানা গেছে, বাংলার একটি স্বনির্ভর সংস্থার কর্মীদের সাহায্যেই তৈরী হচ্ছে এবারের মণ্ডপ। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর চারটি দিনই মায়ের জন্য বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়। চারদিন চাররকম ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। নবমীতে মায়ের চরণে নিবেদন করা হয় মৎস ভোগ।
কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাসবিহারীর কাছেই ক্লাবটি অবস্থিত হওয়ার কারণে এই ক্লাবটিতে ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। স্বর্ণময়ী কি পারলো দর্শকদের মন জয় করতে? জানতে গেলে পৌঁছে যেতেই হবে দক্ষিণ কলকাতা তরুণ সমিতির পুজোমণ্ডপে। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে কালিঘাট মেট্রো, সেখান থেকে কেওয়াতলা মহাশ্মশানের নিকটে এই পূজা মন্ডপ।