আবার দেখা দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। দক্ষিণ চিন সাগরে যেখানে 'বুলবুল'-এর উৎপত্তি হয়েছিল, সেই একই জায়গা থেকে উৎপন্ন হচ্ছে নতুন এক ঘূর্ণিঝড় 'নাকরি'। সেটি আপাতত শক্তি বাড়িয়ে চিন সাগরেই অবস্থান করছে বলে জানা গেছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস থেকে।
যে ঝড়টি থেকে বুলবুলের উৎপত্তি হয়েছিল, দক্ষিণ চিন সাগরের সেই ঝড়টির নাম ছিল 'মাতমো'। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ১৪ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে নাকরি শক্তি বাড়িয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর দিক ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে আঘাত করবে। চেন্নাই-সহ উত্তর তামিলনাড়ুর দিকেও এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। তবে এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের ভারতে আছড়ে পড়ার সঠিক সময় অনুমান করা সম্ভব হয়নি।
জাতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ওপর তৈরী হওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা গত এক দশকে বেড়েছে প্রায় ১১%। গত পাঁচ বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে ৩২%-যা যথেষ্ট উদ্বেগের। চলতি বছরেই ঘূর্ণিঝড় ফণী ওড়িশাতে আছড়ে পড়ে সেখানকার জনজীবন তথা পরিবেশের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছিল। তান্ডব চালিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও। সম্প্রতি বুলবুলের দাপটেও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন, সন্দেশখালি সহ পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা।
জানা গিয়েছে, আপাতত যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে রয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত। ভিয়েতনামের ভূমি লক্ষ্য করে এগোচ্ছে এটি। ভিয়েতনামের উপকূলে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে কিছুটা শক্তিক্ষয় হবে এই নিম্নচাপটির। তারপর দক্ষিণ থাইল্যান্ড অতিক্রম করে মায়ানমারের দক্ষিণভাগে এসে পৌঁছবে এই ঘূর্ণাবর্ত। ফের একবার বঙ্গোপসাগরের ওপর আঘাত হানবে নাকরি। আবহাওয়াবিদরা আশংকা করছেন, এই দ্বিতীয়বার বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পরে ফের একবার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি। সেটা যদি হয়, তাহলে আবার বিপদ হতে পারে ভারতের দক্ষিণভাগে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে পড়তে পারে। তবে কবে নাগাদ এই ঝড় ভারতে ঢুকবে, সে সম্পর্কে কোনও রকম তথ্য এখনও অব্দি সঠিকভাবে জানা যায়নি।